সাম্রাজ্যবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাম্রাজ্যবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

বিপ্লব প্রতিরোধের সাম্রাজ্যবাদী অভিজ্ঞতা

 


ফরাসি বিপ্লবের পরে ফ্রান্সের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল ইউরোপীয় বুর্জোয়ারা। যুদ্ধ চাপিয়ে মুনাফা কামানো এবং বিপ্লব বিরোধিতার অভিজ্ঞতা তাঁদের তখনই হয়েছিল। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর রাশিয়াকে আক্রমণ করতে তাই ইউরোপীয় বুর্জোয়ারা দেরি করেনি। ইউরোপে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ সুদে ঋণদানই ছিল রথচাইল্ড পরিবার নামে একটি সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাসী পরিবার। এর পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের ব্যবসাও ছিল তাদের। বলা হয়ে থাকে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে উভয় সরকারকেই ঋণ দিতো রথসচাইল্ড। বিনিময়ে বন্ধক রাখতে হতো রাষ্ট্রের জমিজমা আর ধন-সম্পদ।  

ফরাসি বিপ্লবের পরে ফ্রান্স এবং ‍ব্রিটেনের মধ্যকার ওয়াটারলুর যুদ্ধে দুই দেশকেই ঋণ দিয়েছিল এই যুদ্ধংদেহী বর্বর পরিবারটি। সেইই যুদ্ধে কেবল ১৮১৫ সালেই ইংল্যান্ডের মিত্রদের ৯৮ লাখ পাউন্ড ঋণ দিয়েছিল তারা, বর্তমান হিসাবে তা প্রায় ১ হাজার ১ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। সেইসময় এর পাশাপাশি আরো একটি লাভজনক ব্যবসা চালাতে পেরেছিল রথসচাইল্ড পরিবার। ওয়াটারলুর যুদ্ধে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে সব ধরনের জাহাজ চলাচলই বন্ধ ছিল। চলতো কেবল এই পরিবারটির জাহাজ। কারণ দুই দেশের সরকারই তাদের জাহাজের নিরাপত্তা দিত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের বিশেষভাবে ফ্রান্স এবং ইটালির কমিউনিস্ট পার্টি ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু এই মেরুদণ্ডবিহীন নপুংসক সংশোধনবাদীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্ষমতা দখল না করে বসে বসে আঙুল চুষছিল। যার ফলাফল বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের জন্য খুব ক্ষতিকর হয়েছিল।

অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকছে বুর্জোয়ারা। লেনিন যে বলেছিলেন সমস্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রলেতারিয়েত হয়ে উঠবে অগ্রণী শ্রেণি, তা বাংলাদেশে কী পর্যায়ে আছে? বাংলাদেশে মাঝে মাঝেই  শ্রমিক ও কৃষকগণ আন্দোলনে অস্ত্র হাতে তুলে নেন, কিন্তু তারপরও শান্তিবাদী হয়ে থাকে কেন কমিউনিস্টরা? কেন তারা দুদিনের হরতাল পর্যন্ত ডাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর পেলেই বোঝা যাবে এইখানে কমিউনিস্ট নামধারী নেতারা মার্কস-লেনিনকে আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলেছেন!

বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদ প্রধান শত্রু। এখানে মৌলবাদ তাঁর জানের দোস্ত। ফুকুয়ামার মতবাদ অনুসারে সাম্রাজ্যবাদ চলছে সভ্যতার সংঘর্ষকে কার্যকর করতে। এই দ্বন্দ্বের জন্য সাম্রাজ্যবাদ মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধ শক্তিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে আমরা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই চালাতে পারব। দ্বন্দ্ব নিয়ে যদি বস্তু তৈরি হয় তবে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধ শক্তিকে মিলেই একটি বস্তু তৈরি হয়।

তথ্যসূত্র

১. রাশেদ শাওন, ৬ জুন, ২০১৭, গোনিউজ২৪.কম, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, সবচেয়ে রহস্যময় রথচাইল্ড পরিবারের উত্থান, ইউআরএল: https://www.gonews24.com/international/news/26734/

সাম্রাজ্যবাদীদের হত্যাকে ধর্মীয় পরিচয় দেয়া যাবে না

 


ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, উত্তর কোরিয়া, ফিলিপাইন, চিলি, নিকারুগুয়া, নাইজেরিয়া ইত্যাদি দেশে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে সাম্রাজ্যবাদীরা। তাদের কিন্তু বৌদ্ধ বা নাস্তিক হিসেবে হত্যা করা হয় নি।

সংখ্যার বিচারে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে, নিহত হয়েছে এসব যারা বলেন, তারা আসলে সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরি করা আখ্যান অনুসারে কথা বলেন। সাম্রাজ্যবাদীরা চায় নিপীড়িতেরা ধর্মীয় পরিচয়ে নিজেদের পরিচিতি দিক, যাতে হত্যাকে আধুনিক বর্বর ইউরোপীয় চিন্তার লোকজনের কাছে বৈধ করা যায়।

আমাদেরকে বলতে হবে, লিখতে হবে যে, গরিবদের নিপীড়িতদের শোষিতদের হত্যা করা হয়েছে। মুসলমান বা ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনলে সাম্রাজ্যবাদীদের সুবিধা হয়। নিপীড়িতের বা গরিবের প্রতিবাদকে মুসলমানদের বলে চালালে সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরি করা ন্যারেটিভ দিয়েই প্রতিবাদ করা হয়। এতে কাজ হয় খুব অল্প। বিশ শতকে দুটি বড় সাম্রাজ্যবাদী মহাযুদ্ধের বিপরীতে লড়াই করে জয়ী হয়েছিলেন, লেনিন, স্তালিন ও মাও সেতুং। আমরা তাঁদের দেখানো পথে চলি, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিশ্ব গড়ি।

তবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন কীভাবে হবে এই নিয়ে একটা কৌতুক পড়া যেতে পারে:

দুই বিপ্লবীর তুমুল বিতর্ক চলছে
১ম বিপ্লবী: সাংস্কৃতিক সংগ্রাম দিয়েই কেবল সাম্রাজ্যবাদকে উৎখাত করা সম্ভব। আমাদের সাংস্কৃতিক সংগ্রামকে জোরদার করতে হবে।

২য় বিপ্লবী: আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে সশস্ত্র বিপ্লবের বিরোধিতা করা। সশস্ত্র হলে সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ বিপ্লবীদের আক্রমণ করার সুযোগ পায়। ফলে সশস্ত্র সংগ্রাম পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী করে।

৩য় বিপ্লবী: আপনাদের বিতর্ক থেকে বুঝলাম রবীন্দ্রসংগীত আমাদের বিপ্লবের প্রধান অস্ত্র। জয় রবীন্দ্রসংগীতের জয়।

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...