শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১২

নাবিকের আধুনিক বিতৃষ্ণার ব্যবচ্ছেদ


আর তুমি
বাঙলার উনিশশো নব্বই দুই হাজারের
বছরগুলোয় কোনোমতে বেঁচে থাকা তরুণী,
কাদা জলে পা টিপে হেঁটে কোন দূর্গমে যাবে?
জোঁকের আক্রমণ হতে আর কত দূর্গমে পালাবে?
তোমারও তো স্বামী সঙসার স্বপ্ন বাড়ি খেলা করে
শ্বাসরুদ্ধ মাঠে

আর আমার চোখে-মুখে সর্বাঙ্গে সজারুর কাঁটার
আঘাতে উদগত বিতৃষ্ণার ফুসকুড়ি;
পরিত্যক্ত শিকনির নালায় ভরে গেছে
হৃদয়ের নদ নদী বিল ঝিল, সমুদ্রের মানসিকতা,
গা শির শিরানো দুর্গন্ধের স্রোতে
ভেসে গেছে অন্তরঙ্গ পথঘাট,
মগজে পেরেকের
ব্যথা আর জিহ্বায় রাতের চটচটে তেতো স্বাদ;
তোমাকে বাঁচায় সাধ্ কার?
তোমার আমার যন্ত্রণা ডুবে আছে তাদের হাসিতে
সহস্র বছরের ক্লান্তি অপমান মুক্তিকামনা ধ্বংসকূপে;
আরো কত দূরে তোমার আমার বাঁচবার মাঁচা
সাফল্যের পরাগায়ন, কচি ফুল, কচি ফল

কবে যে খেয়েছিলাম চোনা বোঝাই
নতুন ব্রান্ডের মদ মনে পড়ে না,
ত্বকের উপরে হাঁটে শামুকের মতো ত্বক
আর আমি হাঁটি তোমার পাশাপাশি
কাঁধ পেরোনো ঝাঁকড়া চুলের করিডোরে,
উজ্জ্বল আটাশাধিক বসন্তের ফুল,
রাস্তাপাশে কড়া আলোর বিজ্ঞাপন
ভোগে ভোগে ভাগাভাগি
চেটেপুটে স্বাদ নাও সোনালি সবুজ

পরিবেশের আধ মরা বৃদ্ধাশ্রমে পরিত্যক্ত
বুড়োদের দল, যত্তো সব উটকো খাজুরে নাগর,
ত্যাগে ভোগে অনাস্থার আশির অধিক বছরগুলো
পকেটের মধ্যে সযতনে রেখে অপেক্ষায় থাকে মোহন মৃত্যুর
প্রাণ ভোমরার কাপে শুধু এসিডের জ্বালা_
অবদমিত আবেগের উত্থিত ঝরণা

দশ হাজার বছরের  মূল্যবোধ সহজে খসে?
গাছের ডালে আবার যাবো নাকি?
খাঁচায় মন কতদিন টিকে?

ছোটাছুটি  হুটোপুটি_
রাত্রির দরজায় প্রতিদিন কড়া নাড়ে বয়সের কদু

ভাবাবেশ কবে যেন খুব কাছে এসে চলে গেছে
গণহত্যকারি যুদ্ধ বিমানের কাছে,
ছোট ছোট ঢেউ তুলে আটলান্টিকের উপর দিয়ে
সকলের মোড়লের পিছে

অনুভূতি কল্পনার রোমান্টিক কবি
দেখে যেয়ো গণধর্ষকদের তন্ত্রমন্ত্র;
মন্ত্রের জোরে পাথুরে ঘুম এখন
নড়ে চড়ে হেলে দুলে পেরোয় পাথুরে রাজপথ,
দুই হাতে ধরে রাখে হৃদয়ের ডিম;
বাম পায়ের দায়িত্ব আধমরা বাচ্চা ফুটাবে,
ভোগবাদে ডান পা বাবা সেজে বসে থাকে সোনার সিংহাসনে, অমর অজর
নিরুত্তেজক দুর্বলের মৃত্যু মজাদার র্দশনের সূত্রপাত ঘটা;
দার্শনিক সে তো কোনো মহাহিসাবরক্ষক নয়;
দুঃস্বপ্নবাদিদের মুখে আশাবাদ ফুলের রেনু মাখায়,
উত্থানের ডাক দেয় হেস্তনেস্তবাদ;
মানুষের হিসেব মেলা সহজাত সহজপ্রাপ্তি নয়
প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে হিসেবে সমানুপাত হয়

ঘৃণা-দাহ-অবজ্ঞার রোদ ঠিকরে পড়লে আমাদের জীবনচক্রে
শত জনমের পাওনা কারা নিয়ে যায় শোধ দিয়ে-
প্রতিশোধ নেয় কোন যুদ্ধের ময়দানে?

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১২

পরিত্যাগ সম্পর্কে



বন্ধুগণ........................
ক্ষণিক উচ্চারণ লোকনাট্য নীতির,
তারপর,
কুয়াশার মতো সাদা কাঁচে আবৃত
রেস্তোরার খাবারেরা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,
অমাবস্যার শিলনোড়া গড়ায়
পথের উপর বাঁ.....চা........

...........আজ আমাদের ছুটি,
আজ আমরা তোমাদের সাথে ঘুরবো,
তোমাদেরকে সার্কাসের সঙ সাজাবো
এবং ক্রমান্বয়ে গিলে ফেলবো
ড্রয়িংরুমে উদ্যানে আকাশের নক্ষত্রের গৃহে

সুখের পায়রারা উড়ে যায়
নীলিমায়;
অথবা আঙুরের গাছে ঝুলছে মুলো আর কাঁচকলা

সাদা শালুকের মতো ফুটন্ত জীবনের
মোড়ে মোড়ে
তুষার ঢাকা পাহাড়, অন্ধকার উপত্যকা, সব পথ রুদ্ধ,

তবুও তো জ্বলে উঠে আগ্নেয়গিরি, জ্বালায় সভ্যতা;
প্রত্যুষে থুথুর তেতো ড্যালাটা ছুঁড়ে ফেলে
মাথা-মুখ-গলা-

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...