শুক্রবার, জুন ১৫, ২০১২

কদম ফুল এশিয়ার ফুল গাছ

কদম, ফটো: অনিন্দ্য মিন্টু, ২০১২
বৈজ্ঞানিক নামঃ Neolamarckia cadamba (Roxb.) Bosser
সমনামঃ Nauclea cadamba Roxb. Anthocephalus cadamba (Roxb.) Miq. Samama cadamba (Roxb.) Kuntze. Anthocephalus morindifolius Korth. Nauclea megaphylla S.Moore. Neonauclea megaphylla S.Moore. Anthocephalus chinensis.
বাংলা নামঃ কদম, কদম্ব,
ইংরেজি নামঃ Kadamba.
আদিবাসি নামঃ

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগ/রাজ্যঃ Plantae - Plants
উপরাজ্যঃ Tracheobionta - Vascular plants
অধিবিভাগঃ Spermatophyta - Seed plants
বিভাগঃ Magnoliophyta - Flowering plants
শ্রেণীঃ Asterids
বর্গঃ Gentianales
পরিবারঃ Rubiaceae
গণঃ Neolamarckia
প্রজাতিঃ Neolamarckia cadamba (Roxb.) Bosser
পরিচিতিঃ পত্রঝরা বৃক্ষ। ১৫-২০ মিটার লম্বা। কাণ্ড কিছুদূর নিঃশাখ, বাকল মসৃণ। ডাল পালা আনুভূমিক ও প্রশাখার প্রান্তে বড় বড় পাতা ঘণবদ্ধ। ফলক ১২-২২ সেমি লম্বা । অল্পবয়সী গাছের পাতা বেশি বড়, ডিম্বাকৃতি বা আয়তাকার, উপর চকচকে সবুজ, নিচ সাদাটে, সামান্য রোমশ। একক গোলাকার হলুদ মুণ্ডকে অসংখ্য ক্ষুদে নলাকার সাদা রঙের সুগন্ধি ফুল ঘনবদ্ধ। মুণ্ডকের ডাঁটা ২.৫-৪ সেমি লম্বা। ফল অনেকগুলো ছোট ছোট ফলের একটি মাংসল পিণ্ড, হলুদ থেকে বাদামি, ৫-৬ সেমি চওড়া। বীজ ক্ষুদে ও অজস্র। ফুল ফোটে বর্ষায়। বীজে চাষ। ভারত ও চিনের প্রজাতি।
ব্যবহারঃ বর্ষার আগমনী বার্তা হিসেবে এই ফুলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়। সে সময় প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে এ-ফুলের চাহিদা রয়েছে

সোমবার, জুন ১১, ২০১২

Three cubs of Royal Bengal Tiger are rescued, one arrested; ঢাকায় তিনটি বাঘের বাচ্চা আটক, একজন গ্রেপ্তার।


Rab, বাংলাদেশের অভিজাত পুলিশ বাহিনী, ঢাকার শ্যামলীতে তিনটি বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করেছে ১১ জুন, ২০১২ সোমবার দুপুরে; এতে গ্রেপ্তার মাত্র করা গেছে ১ জন; Rab জানিয়েছে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন। Rab-২ এর অফিসার রাইহান উদ্দিন জানিয়েছেন বাঘের বাচ্চা চোরাচালানী বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রকৃতিবিদ ও প্রাণিবিদেরা বলছেন এরকম চললে তো বাঘ আগামী বছরই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে
আরো পড়ুন এই লিংক থেকে

The members of Rapid Action Battalion (Rab) held a person with three cubs of Royal Bengal Tiger from city’s Shyamoli area on Monday noon.
Ronald Halder, a prominent birder says, "I think there is clandestine tiger poaching in Bangladesh in significant numbers, and increasing day by day. Poisoning the kill to kill the tiger or baiting with a poison-laced dead dog Caracas is a common practice among poachers which is very difficult to control. I am fearful about the future of our iconic animal in the Sundarbans. What is the story behind this photo?" 
Another Birder Sourav Mahmud says, Animal.Poacher may be killed the Kids mother at Sundarbans . it should be explore truly who and which person involve with Tiger Poaching!! He also added that “What should be done to stop the tiger becoming extinct? You all may know that the Tiger, Bangladesh national animal, is now in danger. I feel that now we all must open our eyes and try to stop this by saving natural sources like water, air etc. Now we all must take a resolution that we will see to it that we save the Tiger-An Endangered.

 

রবিবার, জুন ১০, ২০১২

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে মায়ানমারের হ্যাকাররা।


১০ জুন, ২০১২ দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে মায়ানমারের হ্যাকাররা| শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট সাইটে  http://www.moedu.gov.bd/ প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে হোম পেজে হ্যাকাররা মায়ানমারের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছে| সেখানে বড় করে লেখা আছে, " We Love Rakhine" বা আমরা রাখাইনদের ভালোবাসি সাইটটি ওপেন করলেই শোনা যাবে রাখাইন মিউজিক| সাইট হ্যাক তথ্যে লেখা আছে এই সাইটটি হ্যাক করেছে “Hacked By Blink hacker group বা হ্যাক করেছে ব্লিংক হ্যাকার গ্রুপএছাড়া তারা একটি লিখিত বার্তায় বলেছে মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে বৌদ্ধ ও রাখাইনদের হত্যা ও তাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে| এরপর বাজে ভাষায় গালি দিয়ে বাংলাদেশিদের রোহিঙ্গা উল্লেখ করে বলেছে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হলে রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণ বন্ধ হবে না এবং তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে | তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের ভূমি ফেরত চেয়ে বলেছে আমাদের ভূমি ফেরত দাও | তারা আরো লিখেছে, আমরা বাংলাদেশীদের ও রোহিঙ্গাদেরকে খুঁজছি, এবং রোহিঙ্গাদের ধর্মের সবাইকে আমরা খুব তাড়াতাড়ি হত্যা করবো "We will kill all your Rohinja Religions Soon” সর্বশেষ তাদের বার্তায় তারা আবারও লিখেছে, "We Love Rakhaing and We Love Mayanmar” বা আমরা রাখাইনদেরকে ভালবাসি আমরা মায়ানমারকে ভালবাসি| সর্বশেষ ১১ জুন, ২০১২ দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটিকে ঠিক করা হয়।
হ্যাক হবার পর যে ফটোটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটের পর্দায় দেখা গিয়েছিল সেটি দেখুন এই লিংক থেকে। 

শনিবার, জুন ০৯, ২০১২

দেশি বাবুই বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি




দেশি বাবুই, Baya Weaver, Photo: Firoz Al Sabah, Bangladesh.
দ্বিপদ নাম: Ploceus philippinus
সমনাম: Loxia philippina, Linnaeus, 1766
বাংলা নাম: দেশি বাবুই,
ইংরেজি নাম/Common Name: Baya Weaver.

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia
বিভাগ: Chordata
শ্রেণী: Aves
পরিবার/Family: Passeridae
গণ/Genus: Ploceus, Cuvier, 1816;
প্রজাতি/Species Name: Ploceus philippinus (Linnaeus, 1766)
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাPloceus এই গণে পৃথিবীতে  ৬২ প্রাজাতির পাখি রয়েছেবাংলাদেশে রয়েছে তার তিনটি প্রাজাতিসেগুলো হলো আমাদের আলোচ্য দেশি বাবুই, অন্য দুটি বাংলা বাবুই ও দাগি বাবুই
বর্ণনা: দেশি বাবুই মোটা বাদামি ঠোঁট ও বাদামি দেহের ছোট বুননবিদ পাখিএর দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, ওজন ২৮ গ্রাম, ডানা ৭.৪ সেমি, ঠোঁট ১.৮ সেমি, লেজ ৪.৮ সেমিপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেপাখির চেহারা মেয়ের চেয়ে ভিন্ন
দেশি বাবুইয়ের বাসা, Nests of Baya Weaver are hanging.
স্বভাব: দেশি বাবুই আবাদি জমির কাছের খোলা জায়গা, তৃণভূমি, ছড়ানো-ছিটানো গাছসহ ক্ষুদ্র ঝোপ ও পপ্যারাবনে বিচরণ করে; সারা বছরই ঝাঁকে থাকেমে-আগস্ট মাসে প্রজননকালে খড়, তাল গাছের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমত্কার বাসা তৈরি করে বাবুই পাখিসেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি মজবুতপ্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙে পড়ে নাবাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া যায় নাবাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য কতই কিছু না করে এরাপুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণ করার জন্য খাল-বিল ও ডোবায় ফূর্তিতে নেচে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালেবাসা তৈরি কাজ অর্ধেক হলে কাংখিত স্ত্রী বাবুইকে সেই বাসা দেখায়বাসা পছন্দ হলেই কেবল সম্পর্ক গড়েস্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকি কাজ শেষ করতে পুরুষ বাবুইয়ের সময় লাগে চারদিনস্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই মনের আনন্দে শিল্পসম্মত ও নিপুণভাবে বিরামহীন কাজ করে বাসা তৈরি করেঅফুরন্ত যৌবনের অধিকারী প্রেমিক যত প্রেমই থাক প্রেমিকার জন্য, প্রেমিকার ডিম দেয়ার সাথেই প্রেমিক বাবুই খুঁজতে থাকে আরেক প্রেমিকাপুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ছয়টি বাসা তৈরি করতে পারেধান ঘরে উঠার মৌসুম হলো বাবুই পাখির প্রজনন সময়দুধ ধান সংগ্রহ করে স্ত্রী বাবুই বাচ্চাদের খাওয়ায়এরা তালগাছেই বাসা বাঁধে বেশিমেয়েপাখি বাসা বাছাই করে জুটি বাঁধে ও ডিম পাড়েডিমগুলো সাদা, সংখ্যায় ২-৪ টি, মাপ ২.১×১.৪ সেমিডিম ফুটে ছানা বের হয় ১৪-১৫ দিনেমেয়ে পাখি একা ডিমে তা দেয়১৪-১৬ দিনে ছানারা বাসা ছেড়ে যায়
বিস্তৃতি: দেশি বাবুই বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখিসব বিভাগের গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায়পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, থাইল্যাণ্ড,মিয়ান মার, ভিয়েত নাম, ইন্দোনেশিয়াসহ ও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে
দেশি বাবুই কমার কারণ: দেশে তাল গাছের পরিমাণ অনেক কমেছেসেইসাথে কমেছে কাশবনসঙ্গত কারণেই বাবুই পাখি তাল গাছ ছেড়ে ভিন্ন গাছে বাসা বাঁধছে আমি ২০১১ সালে দিনাজপুর জেলায় শিমুল গাছেও বাসা বাঁধতে দেখেছিএছাড়া খেজুর ও নারকেল গাছেও এখন বাসা বাঁধছেগাছ কমার কারণেই গ্রাম বাংলার পল্লী এলাকায় এখন আর আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা চোখে পড়ে নাআগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ দেখা যেত বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসাকিন্ত সময়ের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আজ এ পাখিটি আমরা হারাতে বসেছিসেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসাখোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক শ্রেনীর মানুষ অর্থের লোভে বাবুই পাখির বাসা সংগ্রহ করে শহরে ধনীদের নিকট বিক্রি করছেএই বাবুই পাখির বাসাগুলো শোভা পাচ্ছে ধনীদের ড্রইং রুমে
অবস্থা: দেশি বাবুইকে ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে বাংলাদেশে বিশ্বে ও বাংলাদেশে বিপদমুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে
সাহিত্যে ব্যবহার: বাবুই পাখির অপূর্ব শিল্প শৈলীতে বিষ্মিত হয়ে কবি রজনীকান্ত সেন তার কবিতায় লিখেছিলেন বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াইআমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়েএক সময় নীলফামারী জেলার প্রায় সবখানেই দেখা যেত শত শত বাবুই পাখির বাসা

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

শনিবার, জুন ০২, ২০১২

বাংলাদেশের বিপন্ন সার্বভৌমত্ব এবং সপ্তম নৌবহরের কমান্ডারের ঢাকা সফর


যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ভাইস অ্যাডমিরাল স্কট এইচ সুইফট ৬-৮ এপ্রিল, ২০১২ ঢাকা সফর করছেন। ছয় তারিখ শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকা পৌঁছান। ৮ এপ্রিল, ২০১২ ঢাকা সফর শেষ করবেন তিনি।
মার্কিন দূতাবাসের সপ্তম নৌবহর বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সপ্তম নৌবহরের এলাকার আওতায় রয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার, যা উত্তরে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণে আটলান্টিক এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সময়রেখা থেকে ৬৮তম পূর্ব ভূমধ্যরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। যেকোনো প্রদত্ত সময়ে ৬০ থেকে ১০০ জাহাজ, ২০০ থেকে ৩০০ যুদ্ধবিমান এবং ৪০ হাজার নৌসেনা ও মেরিন কোর সেনাকে এই সপ্তম নৌবহরে নিয়োজিত করা হয়।
এর আগে গত বছর জুন ২০১২ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌঘাঁটি স্থাপনের খবরটিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলকিন্তু ভিত্তিহীন বললেই তা ভিত্তিহীন হয়ে যায় না
উল্লেখ্য জুন, ২০১২ হঠা করেই সংবাদ আলোচনায় আবার আসে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর হুট করেই গত দুই জুন টাইমস অফ ইন্ডিয়া খবর প্রকাশ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদিরা আবার বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে এবং ৪১ বছর পর আবার তারা বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর স্থাপন করতে চায়সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আমেরিকান রণতরীর ঘাঁটি গাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চিনকেকারণ চিন দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের নৌজাহাজ মোতায়েন করেছে  মার্কিনিরাও চিনের বিরুদ্ধ-কৌশলগত কারণে জাপান থেকে দিয়াগো গার্সিয়া পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে তার সৈন্য নৌবহর মোতায়েন করতে চায়এসবেরই পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পর এশিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য চট্টগ্রামে বা বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একান্ত দরকারযদিও মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধরনের  সামরিক পদক্ষেপের কথা নাকচ করে দিয়েছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়
হিলারি ক্লিনটন গত ৫ ও ৬ মে ২০১২ তে বাংলাদেশ সফর করেন। তখনই চট্টগ্রামে মার্কিন নৌবহর মোতায়েনের ব্যপারে হিলারীর সাথে বাংলাদেশ সরকারের কথা হয় বলে টাইমস অফ ইণ্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়; যদিও বাংলাদেশের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি । সেই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় চট্টগ্রামে আমেরিকান নৌবহর ঘাঁটি গাঁড়লে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিনও তাই মনে করে বলে চিনের এক ওয়েবসাইটে জানানো হয়। কারণ তখন ভারতের সকল নিরাপত্তা স্থাপনা আমেরিকার নজরদারির আওতায় থাকবে।
যদিও আমরা বাংলাদেশের জনগণ খুব ভালো করেই জানি ভারত এখন মার্কিনের কৌশলগত বন্ধু। হিলারীর সেই সফরের আগে থেকেই বাংলাদেশে মার্কিন সেনাবাহিনী উপস্থিত রয়েছে। দুদেশের সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যেই যৌথ মহড়া দেয়। দুদেশপরস্পর সামরিক সহযোগিতার নামে মূলত বাংলাদেশ মার্কিন হুকুম তামিল করে। এছাড়াও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়েই কাজ করছে। এই যে মার্কিনীদের কথায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সরকার উঠছে-বসছে তা দ্বারা শুধু বাংলাদেশের দূর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে না; বাংলাদেশের স্বাধিনতা-স্বার্বভৌমত্বও শক্তিহীন হয়ে পড়ছে।
আমরা জানি হিলারির সফরের সময়েই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারী চুক্তি সম্পাদন করে আর এই চুক্তির কারণেই চট্টগ্রামে নৌ-ঘাঁটি করার পাঁয়তারা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ২ জুন সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিনের সাথে সম্প্রাদিত সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা হুমকির মুখে তা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...