শুক্রবার, মার্চ ২২, ২০১৩

আফ্রিকান সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ চিনুয়া আচেবে


চিনুয়া আচেবে



আফ্রিকান সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ, নাইজেরিয়ার সাহিত্যিক আইকন, কয়েকটি উপন্যাসের লেখক চিনুয়া আচেবে (১৬.১১.১৯৩০-২২.০৩.২০১৩) ১৯৩০ সালে নাইজেরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেনইজেরিয়ার ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা সাহিত্যে শিক্ষা সমাপ্তির পর নাইজেরিয়ান বেতারে কর্মজীবন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তার লেখালেখি শুরু হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর সংগে নাইজেরিয়ার একজন বিশিষ্ট কবিও যোগ দিয়েছিলেনগৃহযুদ্ধকালে আচেবে দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত থাকেনপরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন১৯৯০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন চিনুয়াএরপর তিনি প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় কোনো বই লেখেননিতার পরবর্তী বছরগুলো বেশিরভাগই কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে২০১৩ সাল২২ মার্চ এক বর্ণাঢ্য প্রতিবাদি জীবন শেষে তিনি মারা গেলেন
১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস থিংস ফল অ্যাপার্ট-এর সুবাদে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন আচেবেউপন্যাসটি অনুবাদ হয়েছে ৫০টিরও বেশি ভাষায় তাছাড়া, বিশ্বজুড়ে উপন্যাসটি প্রায় কোটি কপি বিক্রি হয়তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস অ্যান্টহিলস অফ দি সাভানাপ্রকাশিহয় ১৯৮৮ সালে
থিংস ফল অ্যাপার্ট উপন্যাসের জন্য ২০০৭ সালে বুকার পুরস্কার লাভ করেন চিনুয়া আচেবে। চিনুয়া ২০টিরও বেশি লেখা লিখেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি লেখায় তিনি রাজনীতিবিদ এবং নাইজেরিয়ার নেতাদের নেতৃত্বেব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা প্রকাশ করেছেন।
তার বইগুলোতে দেশটির ঔপনেবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য, দেশটির সংস্কৃতিতে খৃস্টানদের আগ্রাসন এবং আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যকার প্রথাগত দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে। এছাড়াও তিনি অনেক ছ্টেগল্প, শিশু সাহিত্য এবং প্রবন্ধও রচনা করেছেন।
আচেবে শুধুমাত্র সাহিত্য অথবা রাজনীতির মানুষ ন, তিনি শুধুমাত্র আফ্রিকার মানুষের কন্ঠস্বর ন। তিনি গোটা বিশ্বে পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী কায়েমী শক্তির বিপক্ষে যুদ্ধবন্দী, দারিদ্রপীড়িত, শোষিত মানুষের প্রাণের আত্মীয়। তিনি কলম দিয়ে বলেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির কথা।
চিনুয়া আচেবের লেখা কারাগারের দেয়ালও ভেঙে দেয়-বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বর্বরখেতাব পাওয়া আফ্রিকার ভূমিহীন দেশহীন মানুষগুলোর কথা বলার এই লেখক অজস্র নিপীড়িত মানুষের অনুপ্রেরণার উস।
লেখক হিসাবে চিনুয়া আচেবি আফ্রিকা এবং পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেছিলেন।তার কাজকে মানদণ্ড ধরেই প্রজন্মান্তরে আফ্রিকান লেখকদের কাজের মূল্যায়ন হয়ে আসছে। আচেবে বেঁচে না থাকলে ও কোটি কোটি মানুষের কাছে আজীবন প্রেরনার উস হয়ে বেঁচে থাকবে তার থিংক ফল অ্যাপার্ট’, ‘গড অব অ্যারোর মত অসংখ্য রচনা।
তাঁর একটি ইংরেজি সাক্ষাতকার পড়ুন এখান থেকে এছাড়া আপনারা চিনুয়া আচেবের একটি বাংলায় অনূদিত সাক্ষাতকার পড়ুন এই লিংক থেকেঃ আপনি যা হারিয়েছেন তা ফিরে পেতে ইংরেজি একটি শক্তিশালী অস্ত্র


বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৩

কালামাথা বেনেবউ বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি


কালামাথা বেনেবউ, Photo: Kiron Khan
বাংলা নাম: কালামাথা বেনেবউ,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Oriolus xanthornus (Linnaeus, 1758)
সমনাম: Coracias xanthornus (Linnaeus, 1758) 
ইংরেজি নাম/Common Name: Black-hooded Oriole.

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Corvidae
গণ/Genus: Oriolus, Linnaeus, 1766;
প্রজাতি/Species: Oriolus xanthornus (Linnaeus, 1758)
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাOriolus এই গণে পৃথিবীতে  ২৭ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে তার ৫টি প্রাজাতি। সেগুলো হলো আমাদের আলোচ্য ১. কালামাথা বেনেবউ, ২. কালাঘাড় বেনেবউ, ৩. ইউরেশীয় সোনাবউ, ৪. সরুঠোঁট বেনেবউ, ও অন্যটি ৫. তামারঙ বেনেবউ। আমাদের আলোচ্য প্রজাতিটির নাম হচ্ছে কালামাথা বেনেবউ
বর্ণনা: কালামাথা বেনেবউ কমলা রঙের ঠোঁট ও গাঢ় লাল ঠোঁটের উজ্জ্বল সোনালি হলুদমাথা কালো, সারা শরীর হলুদ, এবং কিছু পালক কালো। ঠোঁটটি তার হাল্কা লাল। মেয়ে পাখি ছেলে পাখি দেখতে প্রায় একই রকম।
স্বভাব: চঞ্চল পাখি কালামাথা বেনেবউবসন্তের শেষদিকে প্রজনন সময়, ডিম দেয় এক সাথে দুই থেকে চারটি।
বিস্তৃতি: কালামাথা বেনেবউ বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বনে, গ্রামাঞ্চলে, বনে বাদাড়ে সহ বাড়ির আসে পাশে পাওয়া যায়।
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

শনিবার, মার্চ ০৯, ২০১৩

সৌরভ মাহমুদ বাংলাদেশের একজন পরিচিত লেখক ও আলোকচিত্রী



সৌরভ মাহমুদ (ইংরেজিতে: Sourav Mahmud) হচ্ছেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও পরিচিত আলোকচিত্রী এবং লেখক। তিনি বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে লিখছেন।

তিনি ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বরিশালের শায়েস্তাবাদের পূর্ব হবিনগর গ্রামের মায়ের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম ফিরোজা আক্তার বেবী এবং বাবার নাম মো: মোতালিব হোসেন। হবিনগর গ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠা।

সৌরভ মাহমুদ এক যুগেরও বেশি সময় প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ে কলাম লিখছেন দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকৃতি কলামে। উদ্ভিদবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে এম.এস.সি করেছেন। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন সিইজিআইএস এ।

বর্তমানে জার্মানীর ড্রেসডেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববৈচিত্র্য বিষয়ে অধ্যায়নরত এবং জার্মানীর জীববৈচিত্র্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনকেনবার্গ এ কাজ করছেন। তার পাখি ও উদ্ভিদ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা প্রকাশিত হয়েছে আর্ন্তজাতিক জার্নালে। তিনি প্রকৃতি ও পরিবেষবিষয়ক লেখক, উদ্ভিদ এবং পাখি বিশেষজ্ঞ।

তার প্রকাশিত গ্রন্থ তিনটি হচ্ছে বাংলার ও জীবনানন্দের শালিকেরা (এতিহ্য, একুশের বই মেলা ২০১০) শ্যামলী রমনা (অনিন্দ্য প্রকাশ, ২০১৬) এবং পাখি আমার বনের পাখি (অনিন্দ্য প্রকাশ, ২০১৬)।

রবিবার, মার্চ ০৩, ২০১৩

স্পেন _হিউ উইস্টান অডেন


ডব্লিউ. এইচ. অডেন
স্পেন
   ___ হিউ উইস্টান অডেন

আগামিকাল নতুন করে আবিষ্কার হবে দূরাশ্রয়ী প্রেম,
ছবি তোলা হবে দাঁড়কাকদের, স্বাধীনতার মহিমান্বিত ছায়ায়
চলবে আমোদআগামিকাল দিন আসবে বহুরূপী ও সংগীতকারের

বোমার মতো ফেটে-পড়া তরুণ কবিদের জন্য আগামিকাল
হ্রদের ধারে হাঁটার অবকাশ আর সপ্তাহের পর সপ্তাহ নিটোল সংবেদন;
আগামিকাল গ্রীষ্মের অপরাহ্ণে মফস্বল জোড়া সাইকেল প্রতিযোগিতা; কিন্তু আজ লড়াই

আজ সুচিন্তিতভাবে বেড়ে যায় মৃত্যুর মাত্রা,
অমোঘ খুনের পর সজ্ঞান অপরাধবোধে মেনে নিতে হয়;
আজ শক্তিক্ষয় ম্যাড়মেড়ে স্বল্পস্থায়ী ইস্তেহার ও একঘেয়ে আলোচনার পেছনে

(অংশ)

বি.দ্র. কিছু ভীরু ও কিছু সুবিধাবাদির সাথে প্রায় সব প্রতিক্রিয়াশীলরাই বলছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগার সম্ভাবনার কথা। আর আমার মনে পড়ছে ১৯৩৬ সালে শুরু হওয়া স্পেনের গৃহযুদ্ধের কথা। সেই যুদ্ধে সমাজতন্ত্রীদের নেতৃত্বে লড়েছিলেন জনগণ। আর অডেন লিখেছিলেন আমার খুব পছন্দের একটি কবিতা। তার কিছু অংশের অনুবাদ উপরে দেয়া হলও।

জনগণ লড়বেই সমাজতন্ত্রের জন্য। সমাজতান্ত্রিকরা যে কোনো যুদ্ধকেই সমাজতান্ত্রিক শ্রেণিযুদ্ধে রূপান্তর করতে চেষ্টা করবেন। জনগণ তাদের সাথে থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশে সে প্রস্তুতি আছে কী?



Spain
By W. H. Auden

To-morrow the rediscovery of romantic love;
The photographing of ravens; all the fun under
                      Liberty's masterful shadow;
To-morrow the hour of the pageant-master and the musician.

To-morrow for the young the poets exploding like bombs,
The walks by the lake, the winter of perfect communion;
                     To-morrow the bicycle races
Through the suburbs on summer evenings; but today the struggle.

Today the inevitable increase in the chances of death;
The conscious acceptance of guilt in the fact of murder;
                      Today the expending of powers
On the flat ephemeral pamphlet and the boring meeting.

সোমবার, জানুয়ারী ২৮, ২০১৩

কালো ভাল্লুক, Asiatic/Tibetan Black Bear, Ursus thibetanus.


বাংলা নামঃ কালো ভাল্লুক,  
ইংরেজি নাম/Common Name: Asiatic/Tibetan Black Bear,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Ursus thibetanus,
সমনামঃ Ursus torquatus, helarctos tibetanus.  

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Mammalia
বর্গ/Order: Caniformia,
পরিবার/Family: Ursidae,
গণ/Genus: Ursus, Linnaeus, 1758;
প্রজাতি/Species: Ursus thibetanus, (Cuvier, 1823)
বর্ণনাঃ বাংলাদেশের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে ভাল্লুক ছিলো তিন প্রজাতির। মাঝারী লোমের কালো কুচকুচে মসৃণ দেহ। মজবুত শরীর। বুকে সাদা লোমের উপর V কিংবা অর্ধচন্দ্রাকার আকৃতির চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যায়। কান অন্য ভাল্লুকের তুলনায় বড়। নিচের ঠোঁট সাদাটে। দেহের আকার মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৯৫ সেমি। কাঁধের উচ্চতা ৭০ থেকে ১০০ সেমি। লেজ খুব ছোট ১১ সেমি। পুরুষের ওজন ৫০ থেকে ২০০ কেজি এবং স্ত্রী ভাল্লুকের ওজন ৪০ থেকে ১২৫ কেজি।
স্বভাবঃ বন্দী অবস্থায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচার তথ্য আছে। কালো ভাল্লুক দিন রাত সমান সক্রিয়। এরা জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি বনে, সমতল বনে থাকতে পারে। কালো ভাল্লুক পাহাড়ে এবং গাছে উঠতে দক্ষ। এরা একা থাকে। কালো ভাল্লুক বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, ফলমূল, মধু খায়কালো ভাল্লুক সাধারণত মানুষকে খাবারের উদ্দেশে আক্রমণ করে না। ভয়-পেয়ে বা নিজের বা বাচ্চার নিরাপত্তার কারণে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে। এরা লোকালয়ে আসেনা, গভীর বনে থাকতে পছন্দ করে।
বিস্তৃতিঃ কালো ভাল্লুক বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। বৈশ্বিকভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, চিন সহ এশিয়ার অধিকাংশ বনাঞ্চলে পাওয়া যায়।   
অবস্থাঃ কালো ভাল্লুক বাংলাদেশে মহাবিপন্ন এবং বিশ্বে সংকটাপন্ন। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণি আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধঃ বাসস্থান ধ্বংস, চামড়া, লোম, পিত্তথলি, দাঁত, নখের জন্য শিকারের ফলে কালো ভাল্লুক বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির দারপ্রান্তে। দ্রুত এদের সংরক্ষণে পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশ থেকে চির বিদায় নিবে সুন্দর এই প্রাণীটি।

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...