শুক্রবার, এপ্রিল ১২, ২০১৩
শুক্রবার, মার্চ ২২, ২০১৩
আফ্রিকান সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ চিনুয়া আচেবে
চিনুয়া আচেবে |
আফ্রিকান
সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ, নাইজেরিয়ার
সাহিত্যিক আইকন,
কয়েকটি উপন্যাসের লেখক চিনুয়া আচেবে (১৬.১১.১৯৩০-২২.০৩.২০১৩) ১৯৩০
সালে নাইজেরিয়াতে জন্মগ্রহণ
করেছিলেন। নাইজেরিয়ার
ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা
ও সাহিত্যে শিক্ষা
সমাপ্তির পর নাইজেরিয়ান
বেতারে কর্মজীবন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে
তার লেখালেখি শুরু হয়। ১৯৬৭
সালে তিনি নিজেই একটি
প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা
করেন। তাঁর
সংগে নাইজেরিয়ার একজন
বিশিষ্ট কবিও যোগ
দিয়েছিলেন। গৃহযুদ্ধকালে
আচেবে দেশ ত্যাগ করে
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভ্রাম্যমাণ অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত
থাকেন। পরবর্তীকালে
১৯৭৩ সালে নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি
ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান
করেন। ১৯৯০ সালে
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত
হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে
বসবাস করে আসছিলেন চিনুয়া। এরপর তিনি প্রায়
২০ বছরের বেশি সময়
কোনো বই লেখেননি। তার
পরবর্তী বছরগুলো বেশিরভাগই
কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যাপনা করে। ২০১৩
সালের ২২
মার্চ এক বর্ণাঢ্য প্রতিবাদি
জীবন শেষে তিনি মারা
গেলেন।
১৯৫৮ সালে প্রকাশিত
প্রথম উপন্যাস ‘থিংস ফল
অ্যাপার্ট’-এর সুবাদে ব্যাপক
পরিচিত লাভ করেন আচেবে। উপন্যাসটি অনুবাদ
হয়েছে ৫০টিরও বেশি ভাষায়। তাছাড়া, বিশ্বজুড়ে
উপন্যাসটি প্রায় ১ কোটি কপি
বিক্রি হয়। তার
আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
‘অ্যান্টহিলস
অফ দি সাভানা’ প্রকাশিত
হয় ১৯৮৮ সালে।
থিংস
ফল অ্যাপার্ট উপন্যাসের জন্য ২০০৭ সালে বুকার পুরস্কার লাভ করেন চিনুয়া আচেবে। চিনুয়া ২০টিরও বেশি লেখা লিখেছেন। এর মধ্যে
কয়েকটি লেখায় তিনি রাজনীতিবিদ এবং নাইজেরিয়ার নেতাদের নেতৃত্বের
ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা
প্রকাশ করেছেন।
তার বইগুলোতে দেশটির ঔপনেবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য, দেশটির
সংস্কৃতিতে খৃস্টানদের আগ্রাসন
এবং আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যকার প্রথাগত দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে। এছাড়াও তিনি অনেক
ছ্টেগল্প,
শিশু সাহিত্য এবং প্রবন্ধও রচনা করেছেন।
আচেবে
শুধুমাত্র সাহিত্য অথবা রাজনীতির মানুষ নন, তিনি
শুধুমাত্র আফ্রিকার মানুষের কন্ঠস্বর নন।
তিনি গোটা বিশ্বে পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী
কায়েমী শক্তির বিপক্ষে যুদ্ধবন্দী, দারিদ্রপীড়িত, শোষিত
মানুষের প্রাণের আত্মীয়। তিনি কলম দিয়ে বলেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির কথা।
চিনুয়া
আচেবের লেখা কারাগারের দেয়ালও ভেঙে দেয়-বলে মন্তব্য
করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত
নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা । ‘বর্বর’ খেতাব পাওয়া আফ্রিকার ভূমিহীন দেশহীন মানুষগুলোর কথা বলার এই লেখক অজস্র
নিপীড়িত মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
লেখক
হিসাবে চিনুয়া আচেবি আফ্রিকা এবং পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন
হিসাবে কাজ করেছিলেন।তার কাজকে মানদণ্ড ধরেই প্রজন্মান্তরে
আফ্রিকান লেখকদের কাজের মূল্যায়ন হয়ে আসছে। আচেবে বেঁচে না থাকলে ও কোটি কোটি মানুষের
কাছে
আজীবন প্রেরনার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবে তার ‘থিংক ফল অ্যাপার্ট’, ‘গড অব অ্যারো’র
মত অসংখ্য রচনা।
তাঁর
একটি ইংরেজি সাক্ষাতকার পড়ুন এখান
থেকে। এছাড়া
আপনারা চিনুয়া আচেবের একটি বাংলায় অনূদিত সাক্ষাতকার পড়ুন এই লিংক থেকেঃ আপনি
যা হারিয়েছেন তা ফিরে পেতে ইংরেজি একটি শক্তিশালী অস্ত্র।
বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৩
কালামাথা বেনেবউ বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি
কালামাথা বেনেবউ, Photo: Kiron Khan |
বাংলা নাম: কালামাথা বেনেবউ,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Oriolus xanthornus (Linnaeus,
1758)
সমনাম: Coracias xanthornus (Linnaeus, 1758)
ইংরেজি নাম/Common Name: Black-hooded Oriole.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Corvidae
গণ/Genus:
Oriolus, Linnaeus, 1766;
প্রজাতি/Species: Oriolus xanthornus (Linnaeus, 1758)
ভূমিকা: বাংলাদেশের
পাখির তালিকায় Oriolus এই গণে পৃথিবীতে ২৭ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে তার ৫টি প্রাজাতি। সেগুলো হলো
আমাদের আলোচ্য
১. কালামাথা বেনেবউ, ২. কালাঘাড় বেনেবউ, ৩. ইউরেশীয়
সোনাবউ, ৪.
সরুঠোঁট বেনেবউ, ও
অন্যটি ৫.
তামারঙ বেনেবউ। আমাদের
আলোচ্য প্রজাতিটির নাম হচ্ছে কালামাথা বেনেবউ।
বর্ণনা: কালামাথা বেনেবউ কমলা রঙের ঠোঁট
ও গাঢ় লাল ঠোঁটের উজ্জ্বল সোনালি হলুদ। মাথা কালো, সারা শরীর হলুদ, এবং কিছু পালক
কালো। ঠোঁটটি তার হাল্কা লাল। মেয়ে পাখি ছেলে পাখি দেখতে প্রায় একই রকম।
স্বভাব: চঞ্চল পাখি কালামাথা
বেনেবউ। বসন্তের শেষদিকে প্রজনন সময়, ডিম দেয় এক সাথে দুই থেকে চারটি।
বিস্তৃতি: কালামাথা বেনেবউ বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বনে, গ্রামাঞ্চলে, বনে বাদাড়ে সহ
বাড়ির আসে পাশে পাওয়া যায়।
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে
বিপদমুক্ত পাখি
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
১. বাংলাদেশের পাখির তালিকা
২. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা
৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ
৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
Featured Post
বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.
Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...
-
লালঝুটি ভুতিহাঁস, ছেলে, ফটো: ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে দ্বিপদ নাম: Netta rufina (Pallas, 1773) সমনাম: Anas rufina Pallas, 1773 ...
-
Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...
-
বিষকাটালি, ফটো: অনুপ সাদি বাংলা নাম: বিষকাটালি ইংরেজি নাম: Oriental pepper বৈজ্ঞানিক নাম: Persicaria orientalis বর্ণনা: প...
-
National animal of Bangladesh সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ । আমাদের এই বাংলাদেশে রয়েছে হাজারো প্রাণীর...
-
কালামাথা কাবাসি, ছেলে ফটোঃ রেজাউল হাফিজ রাহী দ্বিপদ নাম /Scientific Name: Coracina melanoptera (Ruppell, 1839) সমনাম : Ceblepyr...