বুধবার, আগস্ট ২১, ২০১৩

পাহাড়ি ফল রোসকোগুলো


রোসকোগুলো, ফটোঃ Jummo Adison
স্থানীয় চাকমা ভাষায় নাম রোসকোগুলো। ফলটি লতায় ধরে। কোনো গাছকে অবলম্বন করে লতাটি বেড়ে উঠে। পুরো লতাটির গায়ে থোকায় থোকায় এই ফল ধরতে দেখা যায়। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে লাল রঙ ধারণ করে। ফলটির ভেতরে বড় আকারের একটি বিচি থাকে। বাকল ফেলে দিয়ে বিচির গায়ে লেগে থাকা হালকা রস চুষে চুষে খেতে হয়। রস স্বাধে টক-মিষ্টি।

বুধবার, মে ০১, ২০১৩

শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব ও বাংলাদেশের লাশ হওয়া শ্রমিকগণ


নুপুর পায়ে নিহত বস্ত্রবালিকা

বাংলাদেশের শ্রমিকগণ আগুনে পুড়ে, অট্টালিকা ধ্বসে, দুর্ঘটনায়, পানিতে ডুবে, অপুষ্টিতে মারা যানকারখানা শ্রমিকদের এই নিয়তি পালটাতে হলে আমাদের সম্মুখে একটিই সমাধান রয়েছে এবং সেটি হলও শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব কায়েম করাকিন্তু সেটির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে চিনের প্রাচিরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে বুর্জোয়াশ্রেণির একনায়কত্বগত ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ বাংলাদেশের সাভারে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যায় প্রায় ২০০০ শ্রমিককে হত্যা করা হয়
সপ্তাহখানেকের উদ্ধারে লাশ পাওয়া গেলো চারশআহত হলও ২৫০০বিদেশি প্রচারমাধ্যমগুলোতেও মৃতের ও নিখোঁজের সংখ্যা ১৫০০-এর বেশি বলা হয়েছেসারা দেশবাসি ক্ষুব্ধলাশ উদ্ধার তো হলই না লাশ গুম করা নিয়ে স্বজনেরা সর্বদাই তটস্থ থেকেছেনসারাদেশের শ্রমিক-কৃষক কেঁদে চলেছেন শেষ লাশটির জন্যঅথচ এই রাষ্ট্রযন্ত্র লাশের অধিকার পর্যন্ত ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছেএইরকম অবস্থায় শ্রমিক-কৃষকদের পক্ষে দাড়ানো যে কোনো শ্রমিকশ্রেণির দলগুলোসহ যে কোনো মানুষের পক্ষেই জরুরি ছিলোকিন্তু দেশবাসি দেখলো অন্য ব্যাপারঘটনার পরপরই বামমোর্চা, সিপিবি ও বাসদ গণহত্যাকারিদের শাস্তি ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে হরতাল ঘোষণা করেছিলেনকয়েক ঘণ্টা পরে বিএনপিও হরতাল ডেকেছিলো
আর মালিকদের চাপে জনশত্রুদের একাংশ লীগ হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলো এবং অন্য অংশ বিএনপি হরতাল প্রত্যাহার করেছিলোএরপর শ্রমিকশ্রেনির নামধারী সিপিবি নামক পেটি-বুর্জোয়াদের পার্টিটিও হরতাল থেকে সরে গিয়েছিলো১ মে, ২০১৩ বামমোর্চা এবং বাসদও হরতাল প্রত্যাহার করে নেয় অর্থা ২০০০ শ্রমিককে হত্যা করা হলেও বাংলাদেশে শ্রমিক শ্রেণির দলগুলো ন্যায্য দাবিতে হরতাল দিয়ে নিজেদের দৃঢ় মনোভাব বজায় রাখতে পারেন নাহে মহান শ্রমিকগণ, তোমাদের জন্য বাংলাদেশে এখন আর কে আছে?
অথচ গতকাল ৩০ এপ্রিল, ২০১৩তেও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইলে শ্রমিকগণ রাস্তায় ছিলেন২৪ এপ্রিলের পরে সাভার, নারায়ণগঞ্জ, গাজিপুরে প্রায় প্রতিদিনই শ্রমিকগণ সহিংস বিক্ষোভ করেছেন২৬ এপ্রিলে চট্টগ্রামে শ্রমিকগণ মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুর পর্যন্ত করেছিলেনএমনকি ঘটনার পরপরই শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে সরকার ও মালিকরা ভীত হয়ে বিজিবি পর্যন্ত মোতায়েন করেছিলো
শ্রমিকদের পক্ষে দাঁড়ানো যেতে পারে কেবলমাত্র শ্রমিকদের রাষ্ট্র কায়েম করার মাধ্যমেই। কিন্তু এখনো যদি শ্রমিক শ্রেণির দলগুলো গত চল্লিশ বছরের লুটপাটে গড়ে ওঠা লোভী, পিশাচ, নিষ্ঠুর, নির্দয়, মুনাফাখোর, ব্যবসামনস্ক মধ্যবিত্তের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে তবে শ্রমিকমুক্তি ঘটতে এদেশে বহু দেরি আছে।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দল লিগ-বিএনপি তখনই বাংলাদেশ থেকে বাতিল হবে যখন কমিউনিস্টরা দির্ঘমেয়াদি কর্মসূচি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়ে শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব কায়েম করবেন। কিন্তু হয়তো আজ বাংলাদেশে সেই লক্ষণ আদৌ নেই, কিন্তু লক্ষণ দেখা দিতে কতক্ষণ। আমরা মনে করি বাংলাদেশের শ্রমিকের জন্য রয়েছে এই শ্রমিক বিপ্লবেই সমাধান এবং তারাই বিপ্লবের নিজস্ব শক্তি।
আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিল্পশ্রমিক পেতে সবচেয়ে কম মজুরি দিতে হয়অর্থা সবচেয়ে সস্তা শ্রম এখন বাংলাদেশে সস্তায় শ্রম শোষণ করতে করতে সাম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশকে শ্রমিকের জন্য অগ্নিকুণ্ড বানিয়েছেএমতাবস্থায়, আমরা শুধু বলতে পারি মুক্ত করো এই আগুন বর্বরতা থেকে হে মহান শ্রমিকগণ, কর্তৃত্ব গ্রহণ করো।

রবিবার, এপ্রিল ২১, ২০১৩

খয়রা শিকরেপেঁচা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি



খয়রা শিকরেপেঁচা, Brown Hawk-Owl

বাংলা নাম: খয়রা শিকরেপেঁচা,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Ninox Scutulata (Raffles, 1822)
সমনাম: Ninox Scutulata Scutulata (Raffles, 1822) 
ইংরেজি নাম/Common Name: Brown Hawk-owl.

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Corvidae
গণ/Genus: Ninox, Hodgson, 1837;
প্রজাতি/Species: Ninox Scutulata (Raffles, 1822) 
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাNinox গণে পৃথিবীতে  ২২ প্রজাতির পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের আলোচ্য ১টি প্রাজাতি যার নাম খয়রা শিকরেপেঁচা।
বর্ণনা: খয়রা শিকরেপেঁচা, মসৃণ বাদামি দেহের নিশাচর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৩২ সেমি, ডানা সাড়ে ১১ সেমি। মেয়ে ছেলে পাখির চেহারা অভিন্ন।
স্বভাব: খয়রা শিকরেপেঁচা একা বা জোড়ায় বিচরণ করেমার্চ- জুন মাসে প্রজনন সময়ে গাছের প্রাকৃতিক কোটরে বাসা বেঁধে ডিম দেয়ডিম সংখ্যায় ৩-৫টি। 
বিস্তৃতি: খয়রা শিকরেপেঁচা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বনে, গ্রামাঞ্চলে, বনে বাদাড়ে সহ বাড়ির আসে পাশে পাওয়া যায়। পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ছাড়া পূর্ব, দক্ষিণ- পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে। 
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ: Ninox গণে পৃথিবীতে  ২২ প্রজাতির পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের আলোচ্য ১টি প্রাজাতি।
ছবির ইতিহাসঃ কাপ্তাই, রাঙামাটি বাংলাদেশ থেকে তোলা চলন্ত ফ্যানের আঘাতে একটা পাখা ভেঙে যাওয়া আহত। ২১ এপ্রিল, ২০১৩। ফটো, মাইনুল এইচ সিরাজী

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...