রাষ্ট্রঃ
মার্কসের মতে রাষ্ট্র হলো শ্রেণি-আধিপত্যের সংস্থা, এক শ্রেণি কর্তৃক অপর শ্রেণি
পীড়নের সংস্থা, রাষ্ট্র হলো এমন ‘শৃঙ্খলার’
প্রতিষ্ঠা, যাতে শ্রেণি সংঘাত নরম করে এই পীড়নকে বিধিবদ্ধ ও কায়েম
করে। রাষ্ট্র হলো শ্রেণি-বিরোধের অমিমাংসেয়তার ফল
ও অভিব্যক্তি।[১]
রাষ্ট্র এক শ্রেণি কর্তৃক অপর
শ্রেণিকে দমনের যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়, এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে সেটা
রাজতন্ত্রের চেয়ে একছিটে কম নয়।[২]
শোষকেরা রাষ্ট্রকে
অনিবার্যরূপেই শোষিতদের উপর তাদের শ্রেণির তথা শোষকদের শাসনের এক যন্ত্রে
রূপান্তরিত করে। তাই
সংখ্যাধিক্যের তথা শোষিতদের উপর শাসন পরিচালনাকারী শোষকেরা যতক্ষণ থাকছে, ততক্ষণ
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও অনিবার্যরূপে অবশ্যই হবে শোষকদের গণতন্ত্র। এরূপ রাষ্ট্র থেকে শোষিতদের রাষ্ট্র অবশ্যই
মৌলিকভাবে হবে ভিন্ন; সেটা অবশ্যই হবে শোষিতদের গণতন্ত্র, এবং শোষকদের দাবিয়ে
রাখার যন্ত্র; আর কোনো শ্রেণিকে দাবিয়ে রাখার অর্থ সেই শ্রেণির প্রতি অ-সমান
ব্যবহার, “গণতন্ত্র” থেকে তার বহিষ্কার।[৩]
তথ্যসূত্রঃ
১.
লেনিন; রাষ্ট্র ও বিপ্লব; প্রগতি প্রকাশন, মস্কো; পৃষ্ঠা-৯।
২. লেনিন;
রাষ্ট্র ও বিপ্লব; প্রগতি প্রকাশন, মস্কো; পৃষ্ঠা-৭৯।
৩.
লেনিন; সর্বহারা বিপ্লব ও দলদ্রোহি কাউতস্কি; গণপ্রকাশন, ঢাকা; পৃষ্ঠা ৩৩
ডিসেম্বর, ১৯৯০।