নিথর হাওয়ারা জানে তুমি কাছে নেই
শহরের পাখিরা ভাবে প্রথম আলাপেই
ভাব হলো মহাসামাজিক দুজনার,
সামনে প্রয়োজন নেই দিন গুনবার;
সময়েরা ভেসে যাক উড়োজাহাজে,
দুজনের মাঝখানে ছোটছোট কাজে
জয় হোক ছোট ছোট নিভু ব্যর্থতার,
আমরা শুধু তোমার হবো আমরা হবো সবার।
বিলিয়ে দেবো রাজকোষের সমস্ত সম্পদ,
হটাতে হটাতে বাঁকের সমস্ত বিপদ
রঙিন জীবন যাবে সবার অন্তরে,
নিত্যদিনের কাজে প্রেম সবার বন্দরে;
থাকবে না তোমাকে নিয়ে কারো হাহাকার
তুমি শুধু হাড় কুড়াবে তুমিই হবে সবার।
শক্ত করে দুহাত ধরে হাঁটতে থাকো এক পৃথিবীর সিঁড়ি
আলসেমিটার জানালায় চোখ রেখে আমরা
ঘুরি ফিরি,
দেখেছি ওখানে হাজার জনের কালো গোলাপ চাপা পড়ে আছে,
তোমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা দ্বন্দ্বে মিলেছে
পৃথিবীকে হ্যাঁচকা টানে ফেলে
বদলে দেবো সব শ্রমিকেরা মিলে।
তোমার আঙিনায়,
দুঃখ, ন্যায়,
আর ভরাকটালের জ্যোৎস্নায়
বৃষ্টিভেজা আপেল আর কোকিলের কথা বলবো
কথার ফাঁকে আমরা গাইবো গান
‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’,
আর বৃষ্টির কাছ থেকে আমি ফিরিয়ে নিলাম
আজকের সকাল-সন্ধা, বাগানবিলাসের রূপ, ডালিমের ছন্দ,
তোমার সব কবিতা, চুম্বনের স্বাদ আর নৃত্যের অভিনবত্ব,
রাতের শহরে কবিতাপাঠ, পদ্মার বৃষ্টির রূপ ও অমরত্ব,
সুভাষ বোসের স্বপ্ন, রবীন্দ্রনাথের দুপুর, ঘৃতকাঞ্চনের
কুমারীত্ব,
আমি গহীনের হাত থেকে আনবো তুলে শ্রমসৃষ্ট মনি,
বইয়ের পাতায় দেখবো চাঁপা ফুলের মতো এক আহত অরণী
রাষ্ট্রের শাখা প্রশাখার সাথে করছে অসম যুদ্ধ
এ আমার স্বপ্ন নয়, প্রত্যশা নয়; রক্তবোঝাই সত্য।
১৬.০৭.০৪, কুষ্টিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন