![]() |
খয়রা শিকরেপেঁচা, Brown Hawk-Owl |
বাংলা নাম: খয়রা শিকরেপেঁচা,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Ninox Scutulata (Raffles, 1822)
সমনাম: Ninox Scutulata Scutulata (Raffles, 1822)
ইংরেজি নাম/Common Name: Brown Hawk-owl.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom:
Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Corvidae
গণ/Genus: Ninox, Hodgson, 1837;
প্রজাতি/Species: Ninox Scutulata (Raffles, 1822)
ভূমিকা: বাংলাদেশের
পাখির তালিকায় Ninox গণে
পৃথিবীতে ২২ প্রজাতির
পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের
আলোচ্য ১টি প্রাজাতি যার নাম খয়রা শিকরেপেঁচা।
বর্ণনা: খয়রা শিকরেপেঁচা, মসৃণ বাদামি
দেহের নিশাচর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৩২ সেমি, ডানা সাড়ে ১১
সেমি। মেয়ে ও ছেলে পাখির
চেহারা অভিন্ন।
স্বভাব: খয়রা শিকরেপেঁচা
একা বা জোড়ায় বিচরণ করে। মার্চ- জুন মাসে প্রজনন
সময়ে গাছের প্রাকৃতিক কোটরে বাসা বেঁধে ডিম
দেয়। ডিম সংখ্যায় ৩-৫টি।
বিস্তৃতি: খয়রা শিকরেপেঁচা বাংলাদেশের
সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বনে, গ্রামাঞ্চলে, বনে বাদাড়ে সহ বাড়ির আসে পাশে পাওয়া
যায়। পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ছাড়া পূর্ব, দক্ষিণ- পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।
অবস্থা: ২০০৯
সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে
বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত পাখি হিসেবে
উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে এ
প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ: Ninox গণে
পৃথিবীতে ২২ প্রজাতির
পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের
আলোচ্য ১টি প্রাজাতি।
ছবির
ইতিহাসঃ কাপ্তাই, রাঙামাটি
বাংলাদেশ থেকে তোলা চলন্ত ফ্যানের আঘাতে একটা পাখা ভেঙে যাওয়া
আহত। ২১ এপ্রিল, ২০১৩। ফটো,
মাইনুল এইচ সিরাজী।
আরো পড়ুন: