শুক্রবার, জানুয়ারী ২৫, ২০১৩

দেশি খরগোশ বাংলাদেশের দুর্লভ আবাসিক প্রাণি


দেশি খরগোশ, ফটো: Sumeet Moghe
বাংলা নামঃ দেশি খরগোশ,
ইংরেজি নাম/Common Name: Indian Hare, Black-naped Hare, Rufous-tailed Hare.
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Lepus nigricollis,

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Mammalia
বর্গ/Order: Lagomorpha
পরিবার/Family: laporidae,
গণ/Genus: Lepus, Linnaeus, 1758;
প্রজাতি/Species: Lepus nigricollis (Cuvier, 1823)
বর্ণনাঃ বাংলাদেশের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে দেশি খরগোশ নিরীহ শান্ত প্রাণী 
স্বভাবঃ বাংলাদেশের কিছু গ্রামীণ বন চা বাগান এলাকায় ও বনে খরগোশ আছে। তবে সুন্দরবনে নেই। বাদামী ধূসর গায়ের রঙ। ঘাড়ে কালো দাগআছে। কান লম্বা। সামনের পায়ের চেয়ে পিছনের পা লম্বা। পা নখ যুক্ত। লেজ ছোট। এরা ঘাস, পাতা, ফুল ফল, শেকড়বাকড় খায়। খরগোশ পানি ওঠে না এমন ঘাসবন বা ঝোপঝাড়ের নিচে মাটিতে গর্ত করে বাসা বাঁধে। বিপদের আশঙ্কা থাকলে এরা বাচ্চাকে মুখে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। স্বভাবে এরা নিশাচর।
বিস্তৃতিঃ দেশি খরগোশ বাংলাদেশের দুর্লভ আবাসিক প্রাণিবাংলাদেশের সর্বত্রই এক সময় ছিলো। তাছাড়া ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় এ প্রজাতি পাওয়া যায়। 
অবস্থাঃ দেশি খরগোশ বাংলাদেশে মহাবিপন্ন ও বিশ্বে কম শঙ্কাগ্রস্ত বলে বিবেচিত। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণি আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধঃ শান্ত-নিরিহ এই দেশি খরগোশের বাসস্থান ধ্বংস করে আমরা তাদের করেছি আশ্রয়হীন। অনেকেই হয়ত দেখে থাকবেন হাট-বাজারে দেশি খরগোশ বিক্রি হচ্ছে। নির্বিচারে শিকার ও আবাস ধ্বংসের ফলে, খরগোশ বাংলাদেশে শেষ হবার পথে। আমাদের গ্রামীণ বন গুলোর বন্যপ্রাণী এভাবেই দিন দিন বিলুপ্তের দারপ্রান্তে। এদের রক্ষায় আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। নয়ত আমাদের গ্রামীণ বন হারাবে তার চিরচেনা মুখ।


আরো পড়ুন:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...