তুলসি, এক মহা উপকারি ভেষজ গাছ |
বাংলা নাম: তুলসি,
বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum
tenuiflorum L. - holy
basil
সমনাম: Ocimum sanctum L.
ইংরেজি নাম: Sacred Basil, Holy Basil.
আদিবাসি নামঃ তুলসি (Rakhaing), তুলসি (Tripura), Nung Na (Marma), Nung Gri (Marma), Tulosi
(Tanchangya), Ramal (Tanchangya), Mida phular gaas (Tripura), তুলসি ফাং (Garo)
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae -
Plants
উপরাজ্য: Tracheobionta - Vascular plants
অধিবিভাগ: Spermatophyta - Seed plants
বিভাগ: Magnoliophyta - Flowering plants
শ্রেণী: Magnoliopsida -
Dicotyledons
উপশ্রেণি: Asteridae
বর্গ: Lamiales
পরিবার: Lamiaceae -
Mint family
গণ: Ocimum L. - basil
প্রজাতি: Ocimum
tenuiflorum L. - holy
basil
পরিচিতি: তুলসী একটি
সুগন্ধি বিরুত্ জাতীয় উদ্ভিদ যার সাবেক বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ছিলো পবিত্র স্থান। এটির ইংরেজি নাম holy
basil, বা tulasi. তুলসির সাধারণত দুটি রঙ
দেখা যায়। একটি কৃষ্ণবর্ণের অন্যটি হরিৎবর্ণের। কৃষ্ণ বা কালো বর্ণেরটিকে
বলে কালো তুলসি এবং হরিত বর্ণেরটিকে বলে রাধা তুলসি। হরিৎ বর্ণের ও কৃষ্ণবর্ণের
দুটি তুলসীর একই গুণ। প্রধানত হিন্দুদের পুজোপচারে ব্যবহৃত এই তুলসিই
বাংলাদেশ ভারতের সর্বত্র পাওয়া যায়।
হাজার হাজার বছর ধরে সাধারণত কৃষ্ণ ও
রাধা তুলসী এই দুই প্রকারে প্রাপ্ত তুলসী হিন্দু গৃহে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে
পূজিত হয়ে আসছে যেহেতু এর পিছনে রয়েছে ধর্মীয়, পরিবেশগত ও
বৈজ্ঞানিক কারণ।
তুলসি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পড়তে এই লিংকে যান।
ধর্মীয় কারণের ভেতরে রয়েছে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা, স্কন্দপুরাণে
লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি, পরিবেশ ও
আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে। স্বয়ং
ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন।
পরিবেশগত কারণের ভেতরে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ
ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যে কোন গাছ রাত্রিতে
কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির
জন্য উপকারী। এছাড়া তুলসীগাছ ভুমি
ক্ষয় রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।
এছাড়াও বর্তমানে আমরা আরো যে কয়েক প্রকার তুলসীগাছ সাধারণত দেখতে
পাই সেগুলো হচ্ছে:
১. বাবুই তুলসি বা দুলাল তুলসি; ২. রাম তুলস; ৩. বনবর্বরিকা বা ‘বনতুলসী’ এবং ৪. কর্পূর তুলসি যা থেকে কর্পূর (camphor oil) পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও এই গণের আরও ৪টি প্রজাতিও ভারতে পাওয়া যায়। তবে উল্লেখ করা উচিত হবে যে Ocimum গণে ৬০টির অধিক প্রজাতি আছে।
১. বাবুই তুলসি বা দুলাল তুলসি; ২. রাম তুলস; ৩. বনবর্বরিকা বা ‘বনতুলসী’ এবং ৪. কর্পূর তুলসি যা থেকে কর্পূর (camphor oil) পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও এই গণের আরও ৪টি প্রজাতিও ভারতে পাওয়া যায়। তবে উল্লেখ করা উচিত হবে যে Ocimum গণে ৬০টির অধিক প্রজাতি আছে।
তুলসির ঔষধি গুণাগুণ এবং এর উপকারিতা পড়তে
এই লিংকে যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন