বাংলা নামঃ কালো ভাল্লুক,
ইংরেজি নাম/Common
Name: Asiatic/Tibetan Black Bear,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Ursus thibetanus,
সমনামঃ Ursus torquatus, helarctos
tibetanus.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum:
Chordata
শ্রেণী/Class:
Mammalia
বর্গ/Order: Caniformia,
পরিবার/Family:
Ursidae,
গণ/Genus:
Ursus, Linnaeus, 1758;
প্রজাতি/Species:
Ursus thibetanus, (Cuvier, 1823)
বর্ণনাঃ বাংলাদেশের
স্তন্যপায়ীদের মধ্যে ভাল্লুক ছিলো তিন প্রজাতির। মাঝারী লোমের কালো কুচকুচে
মসৃণ দেহ। মজবুত শরীর। বুকের সাদা লোমের উপর V কিংবা
অর্ধচন্দ্রাকার আকৃতির চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যায়। কান অন্য ভাল্লুকের তুলনায় বড়। নিচের ঠোঁট
সাদাটে। দেহের আকার মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৯৫ সেমি। কাঁধের
উচ্চতা ৭০ থেকে ১০০ সেমি। লেজ খুব ছোট ১১ সেমি। পুরুষের
ওজন ৫০ থেকে ২০০ কেজি এবং স্ত্রী ভাল্লুকের
ওজন ৪০ থেকে ১২৫ কেজি।
স্বভাবঃ বন্দী অবস্থায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচার তথ্য আছে। কালো ভাল্লুক দিন রাত সমান সক্রিয়। এরা জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি বনে, সমতল বনে থাকতে পারে। কালো ভাল্লুক
পাহাড়ে এবং গাছে উঠতে দক্ষ। এরা একা থাকে। কালো ভাল্লুক বিভিন্ন কীটপতঙ্গ,
ফলমূল, মধু খায়। কালো ভাল্লুক সাধারণত মানুষকে খাবারের উদ্দেশে আক্রমণ করে না। ভয়-পেয়ে বা নিজের বা বাচ্চার নিরাপত্তার কারণে মানুষকে আক্রমণ করে
থাকে। এরা লোকালয়ে আসেনা,
গভীর বনে থাকতে পছন্দ করে।
বিস্তৃতিঃ কালো ভাল্লুক বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়।
বৈশ্বিকভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, চিন সহ এশিয়ার অধিকাংশ বনাঞ্চলে পাওয়া
যায়।
অবস্থাঃ কালো ভাল্লুক বাংলাদেশে মহাবিপন্ন এবং বিশ্বে সংকটাপন্ন। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণি আইনে এ
প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধঃ বাসস্থান ধ্বংস,
চামড়া, লোম,
পিত্তথলি, দাঁত, নখের
জন্য শিকারের ফলে কালো ভাল্লুক
বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির দারপ্রান্তে। দ্রুত এদের সংরক্ষণে পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশ থেকে চির বিদায় নিবে সুন্দর এই প্রাণীটি।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের
স্তন্যপায়ী প্রাণির তালিকা