ভিয়েতনাম, লাওস,
কম্বোডিয়া, উত্তর কোরিয়া, ফিলিপাইন, চিলি,
নিকারুগুয়া, নাইজেরিয়া ইত্যাদি দেশে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে সাম্রাজ্যবাদীরা। তাদের কিন্তু
বৌদ্ধ বা নাস্তিক হিসেবে
হত্যা করা হয় নি।
সংখ্যার বিচারে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে, নিহত হয়েছে এসব যারা বলেন, তারা আসলে সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরি করা আখ্যান
অনুসারে কথা বলেন। সাম্রাজ্যবাদীরা চায় নিপীড়িতেরা ধর্মীয় পরিচয়ে নিজেদের পরিচিতি
দিক, যাতে হত্যাকে আধুনিক বর্বর ইউরোপীয় চিন্তার লোকজনের কাছে বৈধ করা যায়।
আমাদেরকে বলতে হবে, লিখতে হবে যে, গরিবদের
নিপীড়িতদের শোষিতদের হত্যা
করা হয়েছে। মুসলমান বা ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনলে সাম্রাজ্যবাদীদের সুবিধা হয়। নিপীড়িতের
বা গরিবের প্রতিবাদকে মুসলমানদের বলে চালালে সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরি করা ন্যারেটিভ
দিয়েই প্রতিবাদ করা হয়। এতে কাজ হয় খুব অল্প। বিশ শতকে দুটি বড় সাম্রাজ্যবাদী মহাযুদ্ধের
বিপরীতে লড়াই করে জয়ী হয়েছিলেন, লেনিন, স্তালিন ও মাও সেতুং। আমরা তাঁদের দেখানো
পথে চলি, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিশ্ব গড়ি।
তবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন কীভাবে হবে এই নিয়ে একটা কৌতুক পড়া যেতে পারে:
২য় বিপ্লবী: আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে সশস্ত্র বিপ্লবের বিরোধিতা করা। সশস্ত্র
হলে সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ বিপ্লবীদের আক্রমণ করার সুযোগ পায়। ফলে সশস্ত্র সংগ্রাম পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী করে।
৩য় বিপ্লবী: আপনাদের বিতর্ক থেকে বুঝলাম রবীন্দ্রসংগীত আমাদের বিপ্লবের প্রধান অস্ত্র। জয় রবীন্দ্রসংগীতের জয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন