সোমবার, জুলাই ২৮, ২০১৪

উলটকম্বল বাংলাদেশ ভারতের ঔষধি উদ্ভিদ


উলটকম্বল
বাংলা নাম: লটকম্বল বা উল্টোকমল
বৈজ্ঞানিক নাম: Abroma augusta
ইংরেজি নাম: Devil's cotton.
আদিবাসি নাম:

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae - Plants
বর্গ: Malvales
পরিবার: Malvaceae
গণ: Abroma L.
প্রজাতি: Abroma augusta L.
পরিচিতি: এটি অস্বাভাবিক দেখতে এক ধরনের গাছ। পাতা, ছাল, কাণ্ড, মূল, ঋতুস্রাব, গনরিয়া, ডায়াবেটিস, ত্বকের সংক্রমণে এবং ফোঁড়ায় ব্যবহৃত হয় এটা ভেষজ গাছ এই গাছের পাতা, বৃন্ত বা ছোট শাখা জলে সরারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে জেলির মতো নির্যাস অনেকেই খায়। কোস্ট কাঠিন্যের মতো রোগে কাজ করে। এই ঘন নির্যাস মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা থাকে। নারীদের যোনিপথের সংক্রমণে কাজে লাগে।
বিস্তৃতি: এটি মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের উষ্ণঅঞ্চলের উদ্ভিদ।

আরো পড়ুন:
৪. বাংলাদেশের পাখির তালিকা

শনিবার, জুলাই ২৬, ২০১৪

গোলপাতা হচ্ছে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের উদ্ভিদ


গোলপাতা বা গোলগাছ, Nypa fruiticians
গোলগাছ বা গোলপাতা হচ্ছে বাংলাদেশের সুন্দরবন, ভারত মায়ানমারসহ এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব অঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের গাছ। এতদঞ্চলে গোলগাছ এবং হোগলার ব্যাপক প্রচলন আছে। এগুলি দেখতে ২/৩ বছরের নারকেল গাছের মত। নদী ও খালের পাশে কর্দমাক্ত স্থানে এগুলি জন্মে থাকে। এর পাতাগুলি দেখতে নারকেল গাছের পাতার মত এবং খুব প্রসস্ত এর পাতা ঘর ছাউনীর কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য গাছের মতো এই পাতা কাটবার জন্য কোন নির্ধারিত সময় বিবেচনা করা হয় না। এই পাতা প্রত্যেক বছর কাটা যায়। নিয়ম হল গাছের মাঝখানের কচি পাতাটির সংগে আর একটি পুরোনো পাতা রেখে বাকী সব পাতা কাটতে হয়।

গোলপাতার বৈজ্ঞানিক নাম Nypa fruiticiansএটি পাম গোত্রের পামজাতীয় এক উদ্ভিদ প্রজাতি। এটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, ছডি়যে় আছে এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব-উপকৃলের ম্যানগ্রোভ বনে। কাণ্ড খাটো, অনুভৃমিক ও তাতে অজস্র শিকড়। পাতা লম্বা ও খাড়া, ৩ থেকে ৯ মিটার লম্বা হয়। গোলপাতা সুন্দরবনে স্বল্প ও মধ্যম লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মে।

আরো পড়ুন:
৪. বাংলাদেশের পাখির তালিকা

সোমবার, জুলাই ২১, ২০১৪

বিষকাটালি বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদ



বিষকাটালি, ফটো: অনুপ সাদি
বাংলা নাম: বিষকাটালি
ইংরেজি নাম: Oriental pepper
বৈজ্ঞানিক নাম: Persicaria orientalis

বর্ণনা: পথ চলতে প্রায়ই দেখি এ গাছ, নাম তার বিষকাঁটালি ....কিছুটা স্যাতস্যাতে মাটিতে দিব্যি আরামে দিন পার করে। প্রজাতিভেদে ফুল দুই ধরণের দেখা যায়- গোলাপি-শাদা আর শাদা। এর ঔষধি অনেক গুণের মধ্যে একটা হলো টিউবারকলোসিস নিরাময়ে এর বীজের ব্যবহার। ভীমরুলের কামড় থেকে উৎপন্ন বিষের জ্বালা কমাতে বিষকাটালির রস ব্যবহার হয়। বিষ কাটালির সংস্কৃত নাম বিশল্যকরনী। গ্রামের কিশোরেরা কেঁচোকে মাটির নিচ থেকে বের করে আনার উদ্দেশ্যে যে স্থানে কেঁচো আছে সেই জায়গার উপরে এই গাছটির লতাপাতাকে পা দ্বারা কচলাতে থাকে এবং পায়ে পানি ঢালতে থাকে। গাছের পাতার রসমিশ্রিত পানি মাটিতে প্রবেশ করলে মাটির নিচ থেকে কেঁচোরা বের হয়ে আসে এবং সেই কেঁচো কিশোরেরা বড়শিতে মাছ শিকারে কাজে লাগায়। মজাটা হলও জলাভূমির ধারে এই গাছ জন্মায়, আর সেই জলার মাছ ধরতেই এই গাছের ব্যবহার করা হয়।



আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...