বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১০, ২০১৩

জনগণের টাকা জমছে গণশত্রুদের পকেটে











ফুলে-ফেঁপে উঠছে সম্পদ, খবর প্রথম আলোর
জনগণ গরিব থেকে দরিদ্রতর হয় আর বাংলাদেশের বিত্তশালী ব্যক্তিরা ধনী হতে থাকে। তাদের টাকা আর সম্পত্তি বাড়তে থাকে। ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ। দশম জাতীয় সংসদে কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। আর জনগণ ভাগ্যকে দোহাই দেয় তাদের গরিবির জন্য। কিন্তু জনগণ গরিব হচ্ছে কারণ তাদের উতপাদিত সম্পদ অন্য স্থানে গিয়ে জমা হচ্ছে। আসুন একটু চোখ বুলাই জনগণের সম্পদ কোথায় জমছে।
ঋণখেলাপিদের হাতেঃ  দেশের ব্যাংকিং খাত ২০ ঋণখেলাপির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেবাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই ২০ জনের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনা রয়েছে সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকাআর এসময়ে পুরো ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকা[১]
২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি ঋণের বিপরীতে মোট চার হাজার ৬৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপির সংখ্যা ২৩ হাজার ৩৪৭ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭৬ হাজার ৩৩১।[২]
অনাদায়ী রাজস্বঃ অনাদায়ী রাজস্বের পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩১ কোটি টাকা।[২]   
কেলেংকারিঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩-এর প্রথম আলোর খবরে জানা যায় প্রায় ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিকেরাবেসিক ব্যাংকে কেলেংকারি টাকার পরিমাণ ৩৫০০ কোটি টাকাসোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হলমার্ক ছাড়াও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া অপর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হলমার্কের মতো ৮২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তিন হাজার ৬০৬ কোটি টাকা আত্মসা করেছে হলমার্কসহ ছয়টি ব্যবসায়ী গ্রুপ। এক সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা থেকেই বিগত জোট সরকারের আমলে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি হয়েছেএই টাকার মধ্যে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন এছাড়া ৫০০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে বেসরকারি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও তার পরিচালনা পরিষদ
কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রঃ কুইক রেন্টালের নামে বর্তমান সরকারের আত্মীয়স্বজন বিদ্যু খাত থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।[৩] এছাড়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ছয় হাজার ৩০৫ কোটি টাকা চলে যাবে কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রের মালিকদের কাছে।
পাচার হয়ে যাচ্ছে টাকাঃ মানবকণ্ঠ জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই)-এর তথ্য মতে, ২০০১ সাল ২০১০ সাল পর্যন্ত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ হাজার ৪০৬ কোটি ডলার পাচার হয়েছেটাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা
জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএডিপি) তথ্যমতে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৩০৬ কোটি ডলার, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, প্রতিবছর পাচার হয় ১৪০ কোটি ডলারআর ক্রিশ্চিয়ান এইডের তথ্য মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেই পাচার হয় বছরে ৩৯৭ কোটি ডলাররাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অর্থ পাচারের পরিমাণ বাড়ে।[৪] 
বাংলাদেশ থেকে গত ৩৪ বছরে বা ১৯৭৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অন্তত দুই হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। এই অর্থ সরিয়ে নিয়ে করের সুখস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও অঞ্চলে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।[৫]
সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত ২২ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত আছেএ অর্থ প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯০৮ কোটি টাকার সমান এটি সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকে যে অর্থ গচ্ছিত রাখা হয়েছে, তার মোট পরিমাণ।[৬]
ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে গত চল্লিশ বছরে ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে। এর মধ্যে আমদানি ও রফতানি এ দুই প্রক্রিয়াকেই কাজে লাগানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে এ হিসাব পাওয়া গেছে।[৭]      

কোটিপতিদের হাতে সব টাকা: দেশে কোটিপতির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এই শিরোনামে কোটিপতিদের বিস্তারিত খবর দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ১২ মার্চ ২০১৪তে। তাদের খবরে পাওয়া যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারী রয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৫৪ জন। এর বাইরে আরও কয়েক লক্ষাধিক রয়েছেন কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এদের কোটি টাকার বাড়ি আছে, গাড়ি আছে এমনকি নগদ টাকাও আছে কোটি টাকার ওপরে। যারা ব্যাংকের বাইরে আমানত রেখেছেন। যেমন- সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার কোম্পানিসহ নানা ধরনের কোম্পানিতেও রয়েছে কোটি কোটি টাকার আমানত। এদের অধিকাংশই কর ফাঁকি দিতে তথ্য গোপন করেছেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গত চার দশকে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবার ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৫৪। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ১৩৫ জন। গত ৬ মাসের ব্যবধানে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৪১৯ জন। ২০০৯ সালে কোটিপতি ছিল ২৩ হাজার ১৩০ জন। এই হিসাবে গত পাঁচ বছরে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ২৬ হাজার ৪২৪ জন। অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে (ডিসেম্বর ১৯৭৫) এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ জন। জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে (ডিসেম্বর ১৯৮০) এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ জনে। তখন তাদের আমানতের পরিমাণ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ১০ শতাংশ। এরশাদ সরকারের পতনের সময় ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪৩ জন ও আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। এ ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে ১৯৯৬ সালের জুনে কোটিপতির মোট সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৯৪ জন ও আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ২০ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটিপতির মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৬২ জন। মহাজোট ক্ষমতায় আসার আগে দুবছরের (২০০৭-০৮) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫ হাজার ১১৪ জন এবং এরও আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (অক্টোবর ২০০১-ডিসেম্বর ২০০৬) কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৮৭ জন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হিসাব সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার ওপরে হিসাব সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ১৩০টি। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৫৩৭টি। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে শেষে এক কোটি টাকা লেনদেন হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৬৯৮টি। ২০১২ সালে ব্যাংকগুলোতে এক কোটির ওপরে থাকা হিসাব সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৭১২টি।[৮]
এছাড়া ২৪ জুন ২০১১ তারিখের আমার দেশ পত্রিকা থেকে জানা যায় স্বাধীনতার আগে ২২ পরিবার ছিল কোটিপতি, যার মধ্যে ৭ জন ছিলেন তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের১৯৭৫ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে যাদের হিসাব বা একাউন্ট ছিল তাদের মধ্যে কোটিপতি ছিলেন মাত্র ৪৭ জন২০০৯ সালের শেষে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৩০ জনেসূত্র মতে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যাবে
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেউ অবৈধভাবে বেনামে একাধিক হিসাবে টাকা রাখলে তাদের শনাক্ত করা কঠিনকাজেই কোটিপতিদের প্রকৃত সংখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের তুলনায় অনেক বেশিএছাড়া দেশে এমন অনেক কোটিপতি রয়েছেন যাদের ব্যাংকে কোটি টাকা নেই, কিন্তু কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছেতাদের নাম বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তালিকায় স্থান পায়নি
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিভিন্ন ব্যাংকে ২৩ হাজার ১৩০ জন কোটিপতির মোট আমানতের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫৪৪ কোটি টাকা[৯]   
৩৬ পরিবারের হাতেঃ বাংলাদেশের লুটপাটকারি ধনীক শ্রেণি জনগণের সব সম্পদ লুট করেছে। পাকিস্তানের ২২ পরিবার এখন ৩৬ পরিবারে রূপান্তরিত। এই ৩৬ পরিবারের হাতে জনগণের প্রায় সব সম্পদ কুক্ষিগত। এই লুটেরা পরিবারগুলো আবার দেশপ্রেমিক বলে সার্টিফিকেট পাচ্ছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১১৫ ধনীর ৭৬ জনই রাজনীতিবিদ।
লুটের খাত পোশাকঃ ২০১২ সালে ১৭ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। এইভাবে গত দুই দশকে কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তার হিসাব কেউই জানে না। এই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের প্রত্যেকটা টাকা হারামের টাকা। শ্রমিকের ঘাম চুরি করে বানানো টাকা। শ্রমিকের রক্ত লাগা টাকা। শ্রমিকের চোখের পানিতে ভিজা টাকা।
শ্রম আইন-২০০৬ অনুসারে মুনাফার ৫% শ্রমিকদের হক। বাস্তবে এক পয়সাও শ্রমিকগণ পায় না। মরার পরে স্বীকৃতিই পায় না আবার মুনাফার ভাগ পাবে কীভাবে? নতুন শ্রম আইন-২০১৩ এর খসড়া অনুসারে এই % এর অর্থ সরাসরি শ্রমিকদের না দিয়ে তথাকথিত শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা করার বিধান রাখা হইছে অর্থা মালিকদের অংশ থেকে যেখানে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল করার কথা, সেখানে শ্রমিকদের নগদ প্রাপ্য থেকেই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বানানোর ধান্দা করা হয়েছে! কইয়ের তেলে কই ভাজা আর কি! শ্রমিক মরলে এই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকেই টাকা দেয়া হবেমালিকের গাঁট থেকে কিছু আর দিতে হবে না
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিঃ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারিতে সংকটে পড়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। সরকার গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেনি। ইচ্ছেমতো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।গ্রাহকদের অর্থ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করেছে ব্যাংকটি।বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে আর কখনোই ঋণ বিতরণ করা হয়নি। পর্ষদই প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের সব আয়োজন করে দিয়েছে। পর্ষদের মাত্র ১১টি সভায় তিন হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ‘৪০টি দেশীয় তফসিলি ব্যাংকের কোনোটির ক্ষেত্রেই পর্ষদ কর্তৃক এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে বলেছে, অধিকাংশ ঋণই গুরুতর অনিয়ম করে দেওয়া হয়েছে।[১০]  

১৯৯১ - ২০১৩ সময়কালীন বাংলাদেশে দুর্নীতি, তথ্যসূত্রঃ বণিক বার্তা
১৯৯১-২০১৩ বিএনপি-লিগের দুর্নীতিঃ গত চার সরকারের আমলে অর্থনৈতিক সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার। বিএনপির (১৯৯১-৯৬) সরকারের আমলে পাঁচটি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের ১০ শতাংশ হারে মোট দুর্নীতি হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকার। পরবর্তী সময়ে (১৯৯৬-২০০১) আওয়ামি লিগ আমলে তা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকায়। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোট বাজেটও বাড়তে থাকে। পাশাপাশি বেড়ে যায় দুর্নীতির পরিমাণ। বিএনপির সর্বশেষ শাসনামলে মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ হারে হিসাব নিয়ে দুর্নীতি দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকার। তবে আওয়ামি লিগের চলমান (২০০৯-১৩) শাসনামলে এর পরিমাণ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ মেয়াদে দুর্নীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা।[১১] 
টাকা পাচার: গত ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১ হাজার ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা অবৈধভাবে বাইরে পাচার হয়েছে। ২০ জুন, ২০১৪ তারিখের দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে জানা যায় ২০১৩ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিরা পাচার করে জমিয়েছে ৩২৩৬ কোটি টাকা।[১২] আর স্বাধীনতার পর গত চার দশকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে গড়ে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০.৪ শতাংশ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে গড়ে ৮০ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬২৪০ কোটি টাকার মতো।[১৩]

বাংলার মজুর-কৃষকদের সেই সম্পদ এভাবে বেহাত হতে পারে নাজনগণের সম্পদ জনগণেরই থাকবে, এই সমাজব্যবস্থা নির্মাণ করার সময় এখন


২. দৈনিক প্রথম আলো, ৩ জুলাই, ২০১৩,
৪. মানবকণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৩,
৭. দৈনিক যুগান্তর, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
৮. দৈনিক যুগান্তর, ১২ মার্চ, ২০১৪, শেষ পৃষ্ঠা
৯. আমার দে, ২৪ জুন ২০১১
১০. সুত্রঃ বাংলা এক্সপ্রেস
১১. বণিকবার্তা ডট কম, তারিখঃ ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩; প্রথম পাতা; লিংকঃ http://www.bonikbarta.com/first-page/2013/12/04/24465   
. দৈনিক যুগান্তর, ২০ জুন, ২০১৪; লেখার লিংক এইখানে
১৩. দৈনিক যুগান্তর, ২৫ জুন, ২০১৪; লেখার লিংক এইখানে। 

শনিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০১২

তুমাচিং ও দামিনিঃ পুরুষতন্ত্র, সামন্তবাদ ও পুঁজিবাদের বলি


তুমাচিং ও দামিনি; পুরুষতন্ত্র ও পুঁজিবাদের হত্যাকণ্ডের শিকার
ভারতের দিল্লীতে ধর্ষিত মেয়ে দামিনি ১৩ দিন লড়াইয়ের পর ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২ শনিবারে সিঙ্গাপুরে মারা গেলেন। ১৬ ডিসেম্বরের ঘটা ঘটনায় তিনি আর বাঁচতে পারলেন না। ৬ পশুর ঘটনায় শুধু কী সেই ছয়জনই দায়ি; নাকি দায়ি নেহেরু-গান্ধির পুঁজিবাদ এবং হাজার বছরের পুরুষতন্ত্র?
আরেকটি খবরে দেখা যাচ্ছে
ভারতের নাগপুর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভান্ডারা জেলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২তে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ১১, ৮ ও ৬ বছরের নাবালিকা তিন বোন তিন বোনকেখাবারের লোভ দেখিয়ে স্কুলফেরত তিনটি মেয়েকে গ্রামের বাইরে এক কুয়োর কাছে নিয়েগিয়ে তাদের উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরাময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়ে ধর্ষণ করার পর ওই তিন কিশোরীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে





ভারত এখন উপরি কাঠামোয় পুঁজিবাদ ও ভেতরের সামন্তবাদের পেষণে নিষ্পেষিত ভয়ংকর নিষ্ঠুর দেশ। আর এই নিষ্ঠুরতাকে জায়েজ করার জন্য গণশত্রুর ভূমিকায় দাড়িয়ে পশুর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ভারতীয় আমলাতন্ত্র ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ধ্বজাধারি কংগ্রেস, বিজেপি, ডিএমকে, টিএমসি, সিপিআই, সিপিএম সহ সংশোধনবাদি প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দল।
দেশটি তো বাংলাদেশের চেয়েও নারী নির্যাতনে শতগুণ খারাপএই ভারত কিভাবে সভ্য বলে দাবী করে? ৬৫ বছরের ভুয়া বুর্জোয়া গণতন্ত্র মৃত্যু উপহার দিয়ে শুধু অসভ্যতাকে ফুটিয়ে তুলছে। দিল্লি একটা নষ্ট শহর। দিল্লিতে আন্দোলন নয় চিনের মত সমাজতন্ত্র দরকার, না হলে কোনদিনই তারা সভ্য হবেন নাবাংলাদেশীদের উচি এই ভারতকে ঘৃণা করামেয়েটির প্রতি আমরা সর্বাত্মক সহানুভুতি জানাইএ লজ্জা এই দুনিয়ার সকল সভ্য মানুষের
কেন আমরা দিল্লিকে ঘৃণা করবো? এই দেখুন এক বছরের দিল্লির বর্বতার নমুনা। ইণ্ডিয়াটুডের ২০ ডিসেম্বর, ২০১২র খবরে বলা হয়েছে কেবলমাত্র দিল্লী শহরে ২০১২ সালে ৬৩৫টি ধর্ষনের মামলা হয়েছে, ৭৫৪ জন ধর্ষক প্রেফতার হয়েছে, ৪০৪ জন আসামির চালান হয়েছে শাস্তি হয়েছে মাত্র ১ জনের, মামলার তদন্ত ঝুলন্ত আছে ৩৪৮টিঈভ টিজিং-এ ১৯৩টি মামলা হয়েছেগ্রেফতার ২০০, কেউ শাস্তি পায়নি। ২০১২ সালে যৌতুকের বলি ১২৮টি; আর এতে গ্রেপ্তার ২৫৩ জন। আর বিবেচনা করুন দিল্লির বর্তমান লোকসংখ্যা ১.৮৭ কোটি। এখন বলুন, ভারতের মত দেশ ছাড়া কোন দেশে এরকম নারী নির্যাতন হয়
২৩ নভেম্বর, ২০০২ এর টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ওদেশে ১৯৯৭ সালে ১৫৩৩০টি থেকে বেড়ে ২০০০ সালে ১৬৪৯৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং জাতীয় অপরাধ গবেষণা ব্যুরো তথ্য প্রকাশ করে সেখানে উল্লেখ করা হয় মাত্র ২০% ধর্ষণের ঘটনার প্রকাশিত হয় বা প্রতিবেদন হয়।
দি স্টার ডট কমের খবরে বলা হয় যখন ভারতে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে এবং দামিনি যেদিন মারা যায় সেদিনই ১০ বছরের এক মেয়েকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশকে খালে ফেলে দেয়া হয়েছে, এই ভারতেই অপর প্রান্তে। এবং ১৪ বছরের এক স্কুল্বালিকাকে চারজনে ধর্ষণ করে মুমূর্ষু করেছে। ২৬ ডিসেম্বর বুধবার ১২ বছরের এক মেয়েকে ৪ জনে ধর্ষণ করেছে যখন সে দাদুবাড়ি যাচ্ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার খবর আসে ১৭ বছরের এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে; কারণ মেয়েটিকে মাসখানেক আগে ধর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষকদের একজনকে পুলিশ বিয়ে করতে মেয়েটিকে চাপ দেয় বা আর্থিক সুবিধা নিতে বলে
পৃথিবীর যে কোনো স্থানের চেয়ে ভারতে নারীর উপর নিপীড়ন বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও ভারতে নিপীড়ন বেশি। অফিসারদের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হচ্ছে এভাবে গতএক বছরে ২৫৬৩২৯ মোট হিংস্র অপরাধের মধ্যে নারীর উপরে সংঘটিত হয় ২২৮৬৫০টি। প্রকৃত অপরাধের সংখ্যা আরো অনেক বেশি কারণ অনেক নারীই অনিচ্ছুক থাকে পুলিশের বা অন্য সংস্থার কাছে নিপীড়নের ঘটনাকে জানাতে।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিবিসি বলছে, ২০১১ সালে দেশটিতে ধর্ষণের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছেওই বছর প্রায় ২৪ হাজার ধর্ষিত নারীর ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেপুলিশের রেকর্ড বলছে, ৯৪ শতাংশ নারীর কাছে ধর্ষকেরা ছিল পূর্বপরিচিতএদের এক-তৃতীয়াংশ প্রতিবেশী এবং অন্যদের মধ্যে আছে অভিভাবক ও আত্মীয়রাদেশটিতে যে পরিমাণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তার ১৭ শতাংশ ঘটে কেবল দিল্লিতেএ জন্য দিল্লির এখন ধর্ষণের নগরবলে কুখ্যাতি জুটেছে
শুধু ধর্ষণ নয়, আরও বিভিন্ন উপায়ে নারীদের ওপরে চালানো হয় অত্যাচার-অবিচার২০১১ সালের পুলিশ রিপোর্ট বলছে, দেশটিতে আগের বছরের তুলনায় নারী অপহরণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যৌতুকের জন্য মৃত্যুর পরিমাণ বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, পিটানো বেড়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, অন্যান্য যৌন নিপীড়ন বেড়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী পাচার বেড়েছে ১২২ শতাংশ
অর্থনীতিবিদ শিবন অ্যান্ডারসন এবং দেবরাজ রায়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতে প্রতিবছর গড়ে ২০ লাখ নারী নিখোঁজ হনএঁদের ১২ শতাংশ জন্মের সময়, ২৫ শতাংশ শৈশবে, ১৮ শতাংশ সন্তান প্রসবকালে এবং ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধ বয়সে
সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নারীর মৃত্যু হয় সন্তান জন্মের সময় বিভিন্ন জখমের ফলেনারীদের প্রতি অবহেলার বিষয়টি এর মধ্য দিয়ে খানিকটা বোঝা যায়
ঢাকাতে ১ বছরে ৩৫টি মামলা হয়েছে ২৮টি নারী যৌতুকের বলি হয়েছে। হাঁ ঢাকাতে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই বেশি, সেটা দিল্লীতে খুব কম, কিন্তু নারী নির্যাতন এরকম দুনিয়ার কোথাও আছেচিনে সারাদেশেও ২৮টি নারী নির্যাতনে মৃত্যুমূখে যায়নি। সুতরাং দিল্লি একটি নষ্ট শহর, তাকে ঘৃণা করতে হবেচরম ঘৃণা
বাংলাদেশে ঘটে ধর্ষণের আরেকটি ঘটনা। তুমা চিং মারমা (১৫) রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলুপাড়ার দরিদ্র পরিবারের কিশোরীসে কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলসে যখন আরও ছোট ছিল, তখন তার বাবা মারা যানমা তাকে নিয়ে ছোট একটা পাখির বাসার মতো বাড়িতে থাকেনসেই বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে পাহাড়ের ঢালুতে তুমা চিং মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়২১ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে
প্রথম আলোর ২৮ ডিসেম্বর, ২০১২র প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় মালেয়া ফাউন্ডেশনের ২০১২ সালের মানবাধিকারসংক্রান্ত প্রতিবেদনে আদিবাসী নারীদের প্রতি সহিংসতার হার সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছেএর মধ্যে মার্চ-এপ্রিলে ৩৯ শতাংশ, মে-জুনে ২০ শতাংশ এবং আগস্ট-অক্টোবরে ৩৫ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছেএ ছাড়া বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে আদিবাসী নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতাসম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে তথ্য পেয়েছে, তাতে দেখা যায় যে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় ২২টি, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় ১৭টি করে মামলা হয়েছেএর মধ্যে বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায় ১৪টি করে এবং খাগড়াছড়ি জেলায় ১২টি মামলার চার্জশিট তৈরি হয়েছেপ্রতিবেদন ফাইল করা হয়েছে বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাঁচটি করে এবং রাঙামাটি জেলায় তিনটিমামলার শুনানি হয়েছে বান্দরবানে দুটি এবং রাঙামাটিতে চারটিবান্দরবান ও রাঙামাটিতে দুটি করে মামলার রায় হলেও কোনো দোষী ব্যক্তির সাজা হয়নি। (তথ্যসূত্র: নিরাপদ গৃহ, নিরাপদ সমাজ: পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, মেঘনা গুহঠাকুরতা)

প্রথম আলোর অন্য প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গত ছয় মাসে ১৭ জন আদিবাসী নারী ও কিশোরী ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, আর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে দুজনতিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরে এসব ঘটনা ঘটেছে
বাংলাদেশ ও ভারতে সমান তালে চলছে নারীহত্যা, নারীধর্ষণ। পুঁজিবাদ ও পুরুষতন্ত্রের ভেতরে নারীর কোনো বাঁচার সম্ভাবনা নেই; একমাত্র সমাজতন্ত্রই পারে নারীকে বাঁচাতে। চিনে সমাজতন্ত্র না হলে তাদেরও ভারতের মতই অবস্থা হতো মনে রাখা দরকার অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে একটি সাংস্কৃতিক উন্নতি না হলে সে সমাজ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...