বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৭, ২০১৩

Rejaul Hafiz Rahi, রেজাউল হাফিজ রাহী, A Photographer From Bangladesh.



Rejaul Hafiz Rahi


Name: Rejaul Hafiz Rahi (রেজাউল হাফিজ রাহী)
Basic Information
Birthday : December 7, 1986
Birth-place: Thakurgaon, Bangladesh.
Sex: Male.
Contact Info:
Mobile Phones: +88 01719 001122
About Rejaul Hafiz Rahi: আসলে ছবি তোলাটা তার শখ ... তিনি সেটা কোথাও শিখে শুরু করেননি...

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৫, ২০১৩

হিমালয়ী গৃধিনী বাংলাদেশের মহাবিপন্ন পাখি


হিমালয়ী গৃধিনী, ফটো: রেজাউল হাফিজ রাহী

বাংলা নাম: হিমালয়ী গৃধিনী,
ইংরেজি নাম/Common Name: Himalayan Griffon Vulture,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Gyps himalayensis
সমনাম: নেই

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Accipitridae
গণ/Genus: Gyps, Savigny, 1809; 
প্রজাতি/Species Name: Gyps himalayensis (Hume, 1869)
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাGyps গণে পৃথিবীতে  প্রজাতির পাখি রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে তার প্রজাতি। সেগুলো হলো ১. বাংলা শকুন, ২. ইউরেশীয় গৃধিনী, ৩. হিমালয়ী গৃধিনী ও ৪. সরুঠুঁটি শকুন। আমাদের আলোচ্য প্রজাতিটির নাম হিমালয়ী গৃধিনী

বর্ণনাঃ বাংলাদেশের পাখির মধ্যে হিমালয়ী গৃধিনী হিমালয়ের সবচেয়ে বড় পাখি।
স্বভাবঃ
বিস্তৃতিঃ হিমালয়ী গৃধিনী বাংলাদেশের অনিয়মিত পাখি। পৃথিবীতে এর বিস্তৃতি পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চিনসহ হিমালয় পর্বতে সীমাবদ্ধ।  
অবস্থাঃ হিমালয়ী গৃধিনী বিশ্বে বিপদমুক্ত ও বাংলাদেশে মহাবিপন্ন বলে বিবেচিত। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণি আইনে এ প্রজাতিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়নি।
বিবিধঃ হিমালয়ী গৃধিনীর বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ হিমালয়ের শকুন।
ছবির ইতিহাসঃ ছবিটি ঠাকুরগাও, বাংলাদেশ থেকে তোলা।

এ বিষয়ে পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁয়ে হিমালয়ী গৃধিনী উদ্ধার, চিড়িখানায় হস্তান্তরে বিরোধিতা, ঠাঁই হলো রামসাগর জাতীয় উদ্যানে


আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

শনিবার, জানুয়ারী ১২, ২০১৩

শ্রমিক বিপ্লবেই সমাধান এবং বিপ্লবের শক্তি





রাষ্ট্রের মালিকানা যাদের হাতে থাকে তারাই শাসন ও শোষণ করে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির মালিক নিশ্চয় শ্রমিক ও কৃষকেরা নয়। তবে এ রাষ্ট্রটির মালিক যতদিন না শ্রমিক-কৃষকেরা হতে পারছে ততদিন শ্রমিক আর কৃষকেরা বারেবার হাজারে হাজারে মারা পড়বে যেমন মারা পড়েছে ২৪ এপ্রিল, ২০১৩-তে সাভারের রানা গার্মেন্টসের নিচে চাপা পড়ে।

এই রাষ্ট্রের মালিকেরা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিমান, রাইফেল, সাবমেরিন কেনে; কিন্তু শ্রমিকদের বাঁচার জন্য উদ্ধারকারি যন্ত্রপাতি কেনে না। এই রাষ্ট্রের মালিকরা নিজেদেরকে শ্রমিক কৃষকের শ্রেণি-ঘৃণা থেকে বাঁচার জন্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, পিপার স্প্রে কেনে, কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি এক টাকা বাড়ায় না।

এই রাষ্ট্রের মালিকেরা বাওয়ালিদের জীবিকাস্থল সুন্দরবনকে ধ্বংস করে ভারতীয় বিদ্যু কোম্পানীকে দয়া দেখিয়ে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে দেয় কিন্তু দেশের প্রকৃতিকে বাঁচতে দেয় না।

এরকম একটি বর্বর পুঁজির শাসনের দেশে রাষ্ট্রের মালিকানা বদলাতে হবে; নতুবা শ্রমিক-কৃষক বাঁচবে না। শ্রমিক বিপ্লবই এর একমাত্র সমাধান।

কেননা
পুঁজিবাদি বর্বরতা যে কোনো সভ্যতার চেয়ে প্রবল।
চতুর্দিকে, প্রতি পদে এমনসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার সমাধান অবিলম্বেই করতে মানুষ সম্পূর্ণ সক্ষম, কিন্তু তার পথে অন্তরায় হলো পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদ বিপুল সম্পদ রাশিকৃত করেছে_ আর মানুষকে বানিয়েছে সেই সম্পদের দাস। পুঁজিবাদ অতি জটিল বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান করেছে_ আর টেকনিক্যাল উন্নতি প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করছে কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র আর অজ্ঞতার দরুন, মুষ্টিমেয় কোটিপতির নির্বোধ লালসার দরুন।[১]  

এইরকম অবস্থায় যখন দেশ চলতে থাকে তখন শ্রমিক বিপ্লব ছাড়া সমস্যা সমাধানের অন্য কোনো পথ সফল হতে পারে না। আর এক্ষেত্রে শ্রমিকদেরকে তাদের নিজেদের শক্তির ও নিজেদের কমিউনিস্ট পার্টির উপরই ভরসা করতে হবে; এবং কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তিশালি ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস কমিউনিস্ট দুর্বলতার ইতিহাস।

কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা সবসময়ই নিজের শক্তির উপর নির্ভরশীল থাকে; জনগণের নিজস্ব শক্তির উপরে ভরসা রেখেই তারা কমিউনিস্ট সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যানতারা কোনো বিদেশী শক্তির দিকে তাকিয়ে কাজ করেন নাকিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন সংশোধনবাদি পতিত ব্যর্থ বামদের ইতিহাস-এর উল্টোতারা একসময় সোভিয়েত-চিনের উপর নির্ভর করতোপরে তারা কংগ্রেস-আওয়ামির লেজুড় হয়

৫ জানুয়ারি, ২০১৩ মহিউদ্দিন আহমদ নামে বাংলাদেশে একটা নতুন বাম পাওয়া গেছিযে কারোয়ান বাজারের সরদার মতিচুর রহমানের পত্রিকা প্রথম আলোয় লিখেছিল এই অঞ্চলে বামদের শেষ ভরসা নেপাল তো এইরকম পরনির্ভর বামদের এক সময় কেবলা ছিল মস্কো-পিকিংএখন মহিউদ্দিন সাহেবরা কেবলা পালটিয়ে নেপালে নতুন কেবলা স্থাপন করতে চাচ্ছেন যা সুস্পষ্টরূপেই দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বিরোধি

আসুন দ্বন্দ্বের নিয়ম কী বলে তা একটু দেখি।

এ বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের বস্তুর ভিত্তি ও শর্ত, বস্তুর বিকাশের অভ্যন্তরীণ কারণ ও বাহ্যিক কারণ বুঝতে হবে। বস্তুর বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ কারণ ও বাহ্যিক কারণ হচ্ছে একটি দ্বন্দ্বের দুটি দিক।
বস্তুর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বটিই বা অভ্যন্তরীণ কারণটিই তার বিকাশের মৌলিক কারণ। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বটিই বস্তু বিকাশের ভিত্তি। অভ্যন্তরীণ কারণ ছাড়া বস্তুর বিকাশ হবে না। অভ্যন্তরীণ কারণ না বুঝলে আমরা ভুল বস্তুর কাছে ভুল বস্তুর উতপাদন আশা করবো। ব্যাপারটা এইরকম আমরা মরিচ গাছের বীজ লাগিয়ে আম খাবার আশা করবো।
যারা বিপ্লব করার জন্য বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা সকল কালেই দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বিরোধি। তারা জনগণের উপর ভরসা করে না। এইসব কানা বামদের জন্য মাও সেতুং-এর এই বানীখানা দেয়া হইল। মাও সেতুং বলছেন
আমরা আত্মনির্ভরতার পক্ষেআমরা বৈদেশিক সাহায্যের শা করি, কিন্তু তার উপর আমরা নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারি না, আমরা নিজেদের প্রচেষ্টার এবং সমগ্র সৈন্যবাহিনী জনগণের সৃজনী শক্তির উপরেই নির্ভর করে থাকি[২]

যদি মার্কসবাদীরা নিজেদের ও জনগণের উপর আস্থা রাখতে না পারে তবে তারা প্রতিক্রিয়াশীলদের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদীদেরও সমর্থন করে বসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীতে যে বামপন্থিদের ভেতর সংশোধন বাদের শক্তি বেড়েছিলো তার কারণ নিজেদের অ জনগণের উপর আস্থাহীনতা। ফ্যাসিবাদ উদ্ভুত হয় ও শক্তি পায় পেটি- বুর্জোয়াদের কাছ থেকে। কমিউনিস্টদেরকেও এই পেটি- বুর্জোয়াদের সমর্থন নেবার প্রয়োজন পড়ে। আর এই হতাশ পেটি- বুর্জোয়াদের সমর্থন পেতে হলে নিজের ও জনগণের শক্তির উপর আস্থা রাখতে হবে। ট্রটস্কি বলছেন,
পেটি বুর্জোয়াকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে গেলে শ্রমিকশ্রেণিকে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবেআর সেই জন্য তাকে অবশ্যই নিজের শক্তির উপর আত্মবিশ্বাসী হতে হবে[৩]

কিন্তু বাংলাদেশে মিল্লাত বাম, টাইগার বাম, ঝাণ্ডু বাম, সংশোধনবাদি আওয়ামি বামদের শেষ ভরসা হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীলদের পত্রিকা প্রথম আলো এখনো টিকে আছে।

তথ্যসূত্রঃ
তথ্যসূত্রঃ
১. ভি. আই. লেনিন; সুসভ্য বর্বরতা; ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯১৩; ২৪ খণ্ড, ১৬-১৭ পৃষ্ঠা।
২. মাও সেতুং; অর্থনৈতিক কার্য চালনা শিখে নিতে হবে; ১০ জানুয়ারি, ১৯৪৫
৩. লিও ট্রটস্কি; পেটি বুর্জোয়া কী বিপ্লবকে ভয় পায়? ফ্রান্স কোন পথে?১৯৩৪

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...