বাঙলা বছরের শেষ প্রান্তরে সবকিছু বদলাতে শুরু করে
ক্ষয়িষ্ণু বর্ষা আর
রাতের হালকা শীতে ঢেউ তুলে
যে জ্ঞান আসে তা তোমারই মতোন নতুন ও সৃষ্টিশীল;
আমরা অবশ্য এসব বিষয়ে তেমন ভাবিনি;
কেননা খবরসন্ধানি আমরা লড়াইয়ের মাঠেই বুঝেছি
দু‘জন আর প্রতিদ্বন্দ্বি নই, হয়েছি সহযোগি;
হৃদয়ের ডাকবাক্সে জমেছে একঝাঁক ভালবাসা।
আমরা অবশ্য খুঁজেছি আর কতটুকু গভীরে গেলে
শ্রমিক শ্রমিকের হয়, কৃষক
কৃষকের,
নেতা জনগনের।
শত শত মাইল দুরে থেকেই মুঠোফোনের মাধ্যমে আমাদের
লেনদেন হতো প্রিয় কিছু কথা ও কাজের,
কিছু শোরগোল, কটুতা, চটুলতা
এবং এসবের মাঝখানে কিছু অংশে শান্ত ঋজু ওলোটপালট
ভুলবোঝাবুঝি, আগ্রহ
এবং সদিচ্ছার অভাব আর
তোমার অন্বেষণে একা একা শহরের রাস্তায় হেঁটে বুঝতে পারা
প্রেমের অভাববোধ।
আমাদের সময়ের বোধ ও বুদ্ধি আমাদেরকে পৌঁছালো
একুশের দুরন্ত নেশায়, বিদ্রোহের কাব্যময় গানে।
আমরা ক্ষয়েছি যারা সেইসব বিহ্বলতার দোরগোড়ায়
যা দুজনের শিল্পিত জীবনে এনেছিলো কালোত্তীর্ণ ছায়ামূর্তি,
সেই আমরা ব্যর্থতার জীবনানন্দীয় টানে সম্মোহিতের মতো জেনেছি
ত্রিভুজের তিনটি চিত্রের সমষ্টি কবিতার দুটি হৃদয়ের সমান,
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ কুষ্টিয়া।