আসামের কাজিরাঙ্গায় পালাসি কুরাঈগল, ফটো: উইকিপিডিয়া থেকে |
দ্বিপদ নাম/Scientific Name: Haliaeetus
leucoryphus
সমনাম: Aquila leucoryphus Pallas, 1771
বাংলা নাম: পালাসি
কুরাঈগল, কুরা,
ইংরেজি
নাম/Common Name:
Pallas’s Fish Eagle.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Acciptridae
গণ/Genus: Haliaeetus, Savigny,
1809;
প্রজাতি/Species: Haliaeetus
leucoryphus (Pallas, 1771)
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের পাখির তালিকায় Haliaeetus গণে বাংলাদেশে রয়েছে এর ৩টি প্রজাতি
এবং পৃথিবীতে রয়েছে মোট ৮টি প্রজাতি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ও আমাদের আলোচ্য
প্রজাতিটির নাম হচ্ছে পালাসি কুরাঈগল।
বর্ণনাঃ পালাসি কুরাঈগলের দৈর্ঘ্য ৮০ সেমি,
ডানা ৫৭ সেমি, ঠোঁট ৫.৮ সেনি, পা ১০.২ সেমি, লেজ ২৭ সেমি। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে পাখিটি
মেয়ে পাখির থেকে আকারে
কিছুটা বড়। চোখ হলুদ। ঠোঁট
কালচে। পিঠের দিক কালচে বাদামি। দেহের নিচের অংশ লালচে-বাদামি। মাথা, ঘাড় ও কাঁধ-ঢাকনি ফিকে সোনালি-পীতাভ। ডানার নিচের দিক কালো। কালো লেজে ফিতার মতো অর্ধচন্দ্রাকার সাদা অংশে সজ্জিত।
স্বভাবঃ পালাসি কুরাঈগল উন্মুক্ত বিল, হাওর, নদীর পাড়,
হ্রদ, জোয়ারীর খাঁড়ি, জলাভূমি ও প্যারাবনে বিচরণ
করে। সচরাচর
জোড়ায় থাকে। উঁচু গাছে বসে থেকে বা মাটিতে নেমে অথবা বাতাসে উড়ে উড়ে এরা শিকার
করে বেড়ায়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে- প্রধানত মাছ, জলচর পাখি, সাপ, ব্যাঙ, কচ্ছপ ও
মৃতদেহ। অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি মাসে প্রজননকালে পানির ধারে গাছের মগডালে ডালপালা ও সবুজ ঘাস দিয়ে
এরা বড় মাচার মত বাসা বানায় এবং বছরের পর বছর একই বাসা ব্যবহার করে। মেয়েপাখি এক
মৌসুমে ২-৪টি ডিম পাড়ে; ডিমগুলো সাদা, মাপ ৬.৯×৫.৫ সেমি। এরা শীত মৌসুমে বাংলাদেশে
আসে, বাচ্চা
উৎপাদন করে আবার বর্ষা
মৌসুমে উত্তরমেরুর দিকে চলে যায়।
বিস্তৃতিঃ ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ
উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে পালাসি
কুরাঈগলকে বাংলাদেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি হিসেবে বলা হয়েছে। ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের হাওর, বিল,
মুক্ত জলাভূমিতে থাকে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছিল। পাকিস্তান,
ভারত, নেপাল, ভুটান,
মঙ্গোলিয়া, চীন, সাইবেরিয়ার
দক্ষিণাঞ্চল, মায়ানমারসহ দক্ষিণ মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।
অবস্থা:
পালাসি কুরাঈগল বিশ্বে সংকটাপন্ন ও
বাংলাদেশে মহাবিপন্ন বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ-প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ: পালাসি কুরাঈগলের বৈজ্ঞানিক নামের
অর্থ ধলাচাঁদি সিন্ধুঈগল (ল্যাটিন: Haliaeetus = সামুদ্রিক;
গ্রিক: leukos =সাদা,
-koruphos = মাথার চাঁদি)।
আরো পড়ুন: