মঙ্গলবার, অক্টোবর ২১, ২০১৪

কাউয়াঠুকরি বাংলাদেশের সুলভ জলজ উদ্ভিদ



কাউয়াঠুকরি, ফটো: তাপস বর্ধন
বৈজ্ঞানিক নাম: Sagittaria guayanensis
সমনাম:
বাংলা নাম: কাউয়াঠুকরি, শালুক ঘাস, মুয়া মিয়া
ইংরেজি নাম: Guayanese Arrowhead

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae - Plants
অবিন্যসিত: Angiosperms
অবিন্যসিত: Monocots
বর্গ: Alismatales
পরিবার: Alismataceae
গণ: Sagittaria
প্রজাতি: Sagittaria guayanensis. Kunth ১৮১৬
পরিচিতি: কাউয়াঠুকরি হচ্ছে জলজ উদ্ভিদ। এদের ফুল সাদা ভিতরে পাপড়ির গোঁড়ার দিকে গাঢ় মেরুন ফুল গন্ধ হীনফুল আনুমানিক ৪ সেঃমিঃ হতে ৫ সেমি আকৃতির। দেখতে খুব সুন্দর ফল হয়, আকৃতিতে ২/৩ সেঃমিঃ ফুল ফোটে আগস্ট হতে নভেম্বর পর্যন্ত। এদের পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল হয় স্কেপের আগার দিকে পুরুষ ফুল এবং নিচের দিকে উভলিঙ্গিক ফুল হয়এ বৈশিষ্ট্য দেখে সহজেই কাউয়াঠুকরি শনাক্ত করা যায়
এই উদ্ভিদ কিউবা, বাংলাদেশ, সুদান, পশ্চিম আফ্রিকা, ভারত, নেপালসহ এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশে জন্মে। ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা থেকে প্রাপ্তির খবরের পূর্বে সেদেশেও অজানা ছিল


আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

৪. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

সোমবার, জুলাই ২৮, ২০১৪

উলটকম্বল বাংলাদেশ ভারতের ঔষধি উদ্ভিদ


উলটকম্বল
বাংলা নাম: লটকম্বল বা উল্টোকমল
বৈজ্ঞানিক নাম: Abroma augusta
ইংরেজি নাম: Devil's cotton.
আদিবাসি নাম:

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae - Plants
বর্গ: Malvales
পরিবার: Malvaceae
গণ: Abroma L.
প্রজাতি: Abroma augusta L.
পরিচিতি: এটি অস্বাভাবিক দেখতে এক ধরনের গাছ। পাতা, ছাল, কাণ্ড, মূল, ঋতুস্রাব, গনরিয়া, ডায়াবেটিস, ত্বকের সংক্রমণে এবং ফোঁড়ায় ব্যবহৃত হয় এটা ভেষজ গাছ এই গাছের পাতা, বৃন্ত বা ছোট শাখা জলে সরারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে জেলির মতো নির্যাস অনেকেই খায়। কোস্ট কাঠিন্যের মতো রোগে কাজ করে। এই ঘন নির্যাস মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা থাকে। নারীদের যোনিপথের সংক্রমণে কাজে লাগে।
বিস্তৃতি: এটি মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের উষ্ণঅঞ্চলের উদ্ভিদ।

আরো পড়ুন:
৪. বাংলাদেশের পাখির তালিকা

শনিবার, জুলাই ২৬, ২০১৪

গোলপাতা হচ্ছে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের উদ্ভিদ


গোলপাতা বা গোলগাছ, Nypa fruiticians
গোলগাছ বা গোলপাতা হচ্ছে বাংলাদেশের সুন্দরবন, ভারত মায়ানমারসহ এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব অঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের গাছ। এতদঞ্চলে গোলগাছ এবং হোগলার ব্যাপক প্রচলন আছে। এগুলি দেখতে ২/৩ বছরের নারকেল গাছের মত। নদী ও খালের পাশে কর্দমাক্ত স্থানে এগুলি জন্মে থাকে। এর পাতাগুলি দেখতে নারকেল গাছের পাতার মত এবং খুব প্রসস্ত এর পাতা ঘর ছাউনীর কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য গাছের মতো এই পাতা কাটবার জন্য কোন নির্ধারিত সময় বিবেচনা করা হয় না। এই পাতা প্রত্যেক বছর কাটা যায়। নিয়ম হল গাছের মাঝখানের কচি পাতাটির সংগে আর একটি পুরোনো পাতা রেখে বাকী সব পাতা কাটতে হয়।

গোলপাতার বৈজ্ঞানিক নাম Nypa fruiticiansএটি পাম গোত্রের পামজাতীয় এক উদ্ভিদ প্রজাতি। এটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, ছডি়যে় আছে এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব-উপকৃলের ম্যানগ্রোভ বনে। কাণ্ড খাটো, অনুভৃমিক ও তাতে অজস্র শিকড়। পাতা লম্বা ও খাড়া, ৩ থেকে ৯ মিটার লম্বা হয়। গোলপাতা সুন্দরবনে স্বল্প ও মধ্যম লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মে।

আরো পড়ুন:
৪. বাংলাদেশের পাখির তালিকা

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...