প্রাণী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রাণী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, মে ২৯, ২০১৪

ধলাপেট বক বাংলাদেশের অনিয়মিত পাখি

ধলাপেট বক, ফটো: ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে

দ্বিপদ নাম/Scientific Name: Ardea insignis
সমনাম: নেই
বাংলা নাম: ধলাপেট বক,

ইংরেজি নাম/Common Name: White-bellied Heron.


জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Ardeidae
গণ/Genus: Ardea, Linnaeus, 1758;
প্রজাতি/Species: Ardea insignis Hume, 1878
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের পাখির তালিকাArdea গণে বাংলাদেশে রয়েছে এর ৪টি প্রজাতি এবং পৃথিবীতেও রয়েছে ১১টি প্রজাতি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতি চারটি হচ্ছে, ১. ধুপনি বক, ২. দৈত্য বক, ৩. ধলাপেট বক, ৪. লালচে বক, ও আমাদের আলোচ্য প্রজাতিটির নাম হচ্ছে ধলাপেট বক
বর্ণনাঃ ধলাপেট বক কালো টুপি ও কালচে লেজওয়ালা বড় জলচর পাখি।
স্বভাবঃ ধলাপেট বক হাওর, নদী, হ্রদ, জলা, জলমগ্ন ভূমি ও মৌসুমে প্লাবিত বাদা কিংবা প্লাবন সমভূমিতে বিচরণ করে।
বিস্তৃতিঃ ধলাপেট বক বাংলাদেশের অনিয়মিত পাখি। এটি বর্তমানে ভুটানে পাওয়া যায় এবং সেখানে বংশবৃদ্ধি করে। তবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে বর্তমানে এর আবাসভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হয়তো এই কারণে পাখিটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে বিশ্বে বিপন্ন ও বাংলাদেশে অপ্রতুল তথ্য-শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

মঙ্গলবার, মে ০৬, ২০১৪

লালঝুটি ভুতিহাঁস বাংলাদেশের দুর্লভ পরিযায়ী পাখি


লালঝুটি ভুতিহাঁস, ছেলে, ফটো: ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে
দ্বিপদ নাম: Netta rufina (Pallas, 1773)  
সমনাম: Anas rufina Pallas, 1773
বাংলা নাম: লালঝুটি ভুতিহাঁস,
ইংরেজি নাম: Red-crested Pochard.  
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের পাখির তালিকা Netta গণে বাংলাদেশে রয়েছে ১টি এবং পৃথিবীতে রয়েছে ৩টি প্রজাতি। আমাদের আলোচ্য এই হাঁসটি হচ্ছে লালঝুটি ভুতিহাঁস
বর্ণনা: লালঝুটি ভুতিহাঁস মাঝারি গড়নের হাঁস (দৈর্ঘ্য ৫৪ সেমি, ওজন ৯৮০ গ্রাম, ডানা ২৬ সেমি, ঠোঁট ৫ সেমি, পা ৪.২ সেমি, লেজ ৬.৭ সেমি)ছেলে মেয়েহাঁসের চেহারায় পার্থক্য আছেপ্রজনন ঋতুতে ছেলেহাঁসের গোল মাথা মরচে-কমলা, ঘাড় কালো, কাঁধে সাদা পট্টি ও বগল সাদা থাকে; বুক ও পেট কালো হয়; ডানায় স্পষ্ট সাদা ডোরা আছে ও ওড়ার পালক সাদাফ্যাকাসে ঠোঁটের আগাসহ ঠোঁটটি উজ্জ্ব লাল; চোখ উজ্জ্বল লাল এবং পা ও পায়ের পাতা কালো বেড়সমেত কমলা-হলুদমেয়ে ও প্রজননকাল ছাড়া ছেলেহাঁসের টুপি ও ঘাড় বাদামি, গাল সাদা, পিঠ বাদামি ও দেহতল পীতাভ; চোখ ও ঠোঁট লালচে মেয়েহাঁসের বাদামি ঠোঁটের আগা পাটল বর্ণের ও অপ্রাপ্তবয়স্কের ঠোঁট কালচে
লালঝুটি ভুতিহাঁস, মেয়ে ফটো: ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে
স্বভাব: লালঝুটি ভুতিহাঁস মিঠাপানির হাওর, বিল, বড় জলাশয় ও নদীতে বিচরণ করে; সাধারণত বড় বড় ঝাঁকে দেখা যায়পানিতে সাঁতার দিয়ে অথবা অল্প পানিতে গলা ডুবিয়ে আহার খোঁজে; খাদ্যতালিকায় রয়েছে লতাপাতা, মুকুল, কচিকা-, জলজ ঘাস, আগাছার বীজ, জলজ পোকামাকড়, ক্ষুদ্র শামুক-জাতীয় প্রাণী ও ব্যাঙাচিএরা জোরে উড়তে পারে এবং ভয় পেলে পানি থেকে খাড়া ওড়ে উঠে যায়ছেলেপাখি র্ককশ গলায় ডাকে: আওয়েহ গিক,পারর-পারর-পারর গ্রীষ্মকালের প্রজনন ঋতুতে মধ্য এশিয়ায় জলাশয়ের পাশে লতাপাতার মধ্যে নল ও ঘাসের স্তুপ বানিয়ে তার ওপর পালকের বাসা করে ডিম পাড়েডিমগুলো জলপাই-ধূসর, সংখ্যায় ৭-১৪টি, মাপ ৫.৭ × ৪.২ সেমি
বিস্তৃতি: লালঝুটি ভুতিহাঁস বাংলাদেশের দুর্লভ পরিযায়ী পাখি; ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের হাওরে শীতে থাকেইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে; এশিয়ায় ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোচীনে এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে
অবস্থা: লালঝুটি ভুতিহাঁস বিশ্বব্যাপী বিপদমুক্ত পাখিবাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত
বিবিধ: লালঝুটি ভুতিহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ লাল হাঁস (গ্রীক: Netta = হাঁস; ল্যাটিন: rufus = লাল)
বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রাণী জ্ঞানকোষে এই নিবন্ধটির লেখক  ইনাম আল হক ও  এম. কামরুজ্জামান। 


আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

রবিবার, মার্চ ২৩, ২০১৪

গো বগা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি


গো বগা, Cattle Egret, Photo: Kiron Khan, Bangladesh
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Bubulcus ibis (Linnaeus, 1758)
সমনাম: Ardea ibis, Linnaeus, 1758 
বাংলা নাম: গো বগা, গো বক(আলী)
ইংরেজি নাম/Common Name: Cattle Egret.

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia
বিভাগ: Chordata
শ্রেণী: Aves
পরিবার/Family: Ardeidae
গণ/Genus: Bubulcus, Bonaparte, 1855;
প্রজাতি/Species Name: Bubulcus ibis (Linnaeus, 1758)
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাBubulcus গণে বাংলাদেশে রয়েছে এর ১টি প্রজাতি এবং পৃথিবীতেও ১টি প্রজাতি। বাংলাদেশে ও পৃথিবীতে প্রাপ্ত প্রজাতিটি হলো গো বগা
বর্ণনা: গো বগা হলদে ঠোঁট সাদা দেহের চারণভূমির পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৫১ সেমি,  ওজন ৪৬০ গ্রাম, ডানা ২ সেমি, ঠোঁট . সেমি, পা . সেমি, লেজ সেমি। ৩টি উপপ্রজাতির মধ্যে B. i. coromandus বাংলাদেশে রয়েছে।
স্বভাব: গো বগা মাঠ, জলা, মিঠাপানির বাদা, চারণভূমি, গবাদি পশুর খোঁয়াড়, বিল, হ্রদ, নদী, জলাধার, খাল, প্যারাবন, প্লাবনভূমি, খোলা বন ও ধানখেতে বিচরণ করে
বিস্তৃতি: গো বগা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের সব জলাশয়ে পাওয়া যায়। ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পুরো ভারত উপমহাদেশসহ এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা  

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...