রবিবার, এপ্রিল ২১, ২০১৩

খয়রা শিকরেপেঁচা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি



খয়রা শিকরেপেঁচা, Brown Hawk-Owl

বাংলা নাম: খয়রা শিকরেপেঁচা,
বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Ninox Scutulata (Raffles, 1822)
সমনাম: Ninox Scutulata Scutulata (Raffles, 1822) 
ইংরেজি নাম/Common Name: Brown Hawk-owl.

জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্যKingdom: Animalia
বিভাগ/Phylum: Chordata
শ্রেণী/Class: Aves
পরিবার/Family: Corvidae
গণ/Genus: Ninox, Hodgson, 1837;
প্রজাতি/Species: Ninox Scutulata (Raffles, 1822) 
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকাNinox গণে পৃথিবীতে  ২২ প্রজাতির পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের আলোচ্য ১টি প্রাজাতি যার নাম খয়রা শিকরেপেঁচা।
বর্ণনা: খয়রা শিকরেপেঁচা, মসৃণ বাদামি দেহের নিশাচর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৩২ সেমি, ডানা সাড়ে ১১ সেমি। মেয়ে ছেলে পাখির চেহারা অভিন্ন।
স্বভাব: খয়রা শিকরেপেঁচা একা বা জোড়ায় বিচরণ করেমার্চ- জুন মাসে প্রজনন সময়ে গাছের প্রাকৃতিক কোটরে বাসা বেঁধে ডিম দেয়ডিম সংখ্যায় ৩-৫টি। 
বিস্তৃতি: খয়রা শিকরেপেঁচা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বনে, গ্রামাঞ্চলে, বনে বাদাড়ে সহ বাড়ির আসে পাশে পাওয়া যায়। পাকিস্তান ও মালদ্বীপ ছাড়া পূর্ব, দক্ষিণ- পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে। 
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুসারে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
বিবিধ: Ninox গণে পৃথিবীতে  ২২ প্রজাতির পেঁচা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে আমাদের আলোচ্য ১টি প্রাজাতি।
ছবির ইতিহাসঃ কাপ্তাই, রাঙামাটি বাংলাদেশ থেকে তোলা চলন্ত ফ্যানের আঘাতে একটা পাখা ভেঙে যাওয়া আহত। ২১ এপ্রিল, ২০১৩। ফটো, মাইনুল এইচ সিরাজী

আরো পড়ুন:

. বাংলাদেশের পাখির তালিকা 

. বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণীর তালিকা

৩. বাংলাদেশের ঔষধি উদ্ভিদের একটি বিস্তারিত পাঠ

৪. বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ

শুক্রবার, এপ্রিল ১২, ২০১৩

উইন্ড্যাম ল্যুইস ও শেক্সপীয়ার


উইন্ড্যাম ল্যুইস শিল্পের জন্য শিল্পের চেয়ে মানুষের জন্য শিল্পের দিকেই বেশি ঝোঁক দেখিয়েছেন। তিনি মানতেন যে অতীত লেখকদের উদাহরণ ছাড়া শিল্প সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম অসম্ভব।  

আমাদের আলোচ্য লেখকের একটি বইয়ের নাম শিল্প ছাড়া মানুষ[১]। এই লেখক সম্পর্কে আধুনিকতাবাদী কবি সুধিন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন,
“তাঁর বক্তব্যে তর্কের অবকাশ আছে বটে, কিন্তু শুভ বুদ্ধির অভাব নেই।”[২]   

মহাকবি শেক্সপীয়রকে যখন কিছু যান্ত্রিক বস্তুবাদীরা বুর্জোয়াদের সমর্থক হিসেবে উঠে পড়ে লেগেছিলেন সেইরকম মুহূর্তে ল্যুইস বলেছিলেন,
সামন্ততান্ত্রিক কবি তো দূরের কথা ত্রোইলাস ও ক্রেসিডা, টেম্পেস্ট, বা করিওলানুস নাটকে যে শেক্সপীয়ারের দেখা পাই তিনি অনেক বেশি বলশেভিক; রক্ষণশীল রোমান্স রচয়িতা তিনি নন।

তথ্যসূত্রঃ
. Men without Art, Wyndham Lewis.
. সুধীন্দ্রনাথ দত্তের প্রবন্ধসংগ্রহ; দেজ পাবলিশিং, কলকাতা, পৃষ্ঠা- ১৩৪, জানুয়ারি, ১৯৯৫।   

শুক্রবার, মার্চ ২২, ২০১৩

আফ্রিকান সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ চিনুয়া আচেবে


চিনুয়া আচেবে



আফ্রিকান সাহিত্য জগতের খ্যাতিমান পুরুষ, নাইজেরিয়ার সাহিত্যিক আইকন, কয়েকটি উপন্যাসের লেখক চিনুয়া আচেবে (১৬.১১.১৯৩০-২২.০৩.২০১৩) ১৯৩০ সালে নাইজেরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেনইজেরিয়ার ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা সাহিত্যে শিক্ষা সমাপ্তির পর নাইজেরিয়ান বেতারে কর্মজীবন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তার লেখালেখি শুরু হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর সংগে নাইজেরিয়ার একজন বিশিষ্ট কবিও যোগ দিয়েছিলেনগৃহযুদ্ধকালে আচেবে দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত থাকেনপরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন১৯৯০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন চিনুয়াএরপর তিনি প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় কোনো বই লেখেননিতার পরবর্তী বছরগুলো বেশিরভাগই কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে২০১৩ সাল২২ মার্চ এক বর্ণাঢ্য প্রতিবাদি জীবন শেষে তিনি মারা গেলেন
১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস থিংস ফল অ্যাপার্ট-এর সুবাদে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন আচেবেউপন্যাসটি অনুবাদ হয়েছে ৫০টিরও বেশি ভাষায় তাছাড়া, বিশ্বজুড়ে উপন্যাসটি প্রায় কোটি কপি বিক্রি হয়তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস অ্যান্টহিলস অফ দি সাভানাপ্রকাশিহয় ১৯৮৮ সালে
থিংস ফল অ্যাপার্ট উপন্যাসের জন্য ২০০৭ সালে বুকার পুরস্কার লাভ করেন চিনুয়া আচেবে। চিনুয়া ২০টিরও বেশি লেখা লিখেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি লেখায় তিনি রাজনীতিবিদ এবং নাইজেরিয়ার নেতাদের নেতৃত্বেব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা প্রকাশ করেছেন।
তার বইগুলোতে দেশটির ঔপনেবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য, দেশটির সংস্কৃতিতে খৃস্টানদের আগ্রাসন এবং আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যকার প্রথাগত দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে। এছাড়াও তিনি অনেক ছ্টেগল্প, শিশু সাহিত্য এবং প্রবন্ধও রচনা করেছেন।
আচেবে শুধুমাত্র সাহিত্য অথবা রাজনীতির মানুষ ন, তিনি শুধুমাত্র আফ্রিকার মানুষের কন্ঠস্বর ন। তিনি গোটা বিশ্বে পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী কায়েমী শক্তির বিপক্ষে যুদ্ধবন্দী, দারিদ্রপীড়িত, শোষিত মানুষের প্রাণের আত্মীয়। তিনি কলম দিয়ে বলেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির কথা।
চিনুয়া আচেবের লেখা কারাগারের দেয়ালও ভেঙে দেয়-বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বর্বরখেতাব পাওয়া আফ্রিকার ভূমিহীন দেশহীন মানুষগুলোর কথা বলার এই লেখক অজস্র নিপীড়িত মানুষের অনুপ্রেরণার উস।
লেখক হিসাবে চিনুয়া আচেবি আফ্রিকা এবং পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেছিলেন।তার কাজকে মানদণ্ড ধরেই প্রজন্মান্তরে আফ্রিকান লেখকদের কাজের মূল্যায়ন হয়ে আসছে। আচেবে বেঁচে না থাকলে ও কোটি কোটি মানুষের কাছে আজীবন প্রেরনার উস হয়ে বেঁচে থাকবে তার থিংক ফল অ্যাপার্ট’, ‘গড অব অ্যারোর মত অসংখ্য রচনা।
তাঁর একটি ইংরেজি সাক্ষাতকার পড়ুন এখান থেকে এছাড়া আপনারা চিনুয়া আচেবের একটি বাংলায় অনূদিত সাক্ষাতকার পড়ুন এই লিংক থেকেঃ আপনি যা হারিয়েছেন তা ফিরে পেতে ইংরেজি একটি শক্তিশালী অস্ত্র


Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...