বাংলাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, জুন ১৭, ২০১২

বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণী

ভারতীয় গণ্ডার, বাংলাদেশের বিলুপ্ত স্তন্যপায়ী

বাংলাদেশ থেকে গত ২০০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অন্তত ১০৬টি প্রজাতির প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, জনগণের অসচেতনতা, বনভূমি কমে যাওয়া, জলাভূমি কমে যাওয়া, নদী শুকিয়ে যাওয়া, প্রাণীর উপর জনগণের অত্যাচার ও আক্রমণ ইত্যাদির কারণে বাংলাদেশের প্রাণীগুলো বিলুপ্ত হয়েছে। আরো অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। সচেতন না হলে বাংলাদেশের আরো ৫০০টি প্রজাতি আগামি ৫০-১০০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে নানা বর্গের যেসব প্রাণি তার তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
৩. সরীসৃপের ৮টি প্রজাতি,
৫. স্বাদু পানির মাছের ৩০টি প্রজাতি,

রবিবার, জুন ১০, ২০১২

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে মায়ানমারের হ্যাকাররা।


১০ জুন, ২০১২ দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে মায়ানমারের হ্যাকাররা| শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট সাইটে  http://www.moedu.gov.bd/ প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে হোম পেজে হ্যাকাররা মায়ানমারের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছে| সেখানে বড় করে লেখা আছে, " We Love Rakhine" বা আমরা রাখাইনদের ভালোবাসি সাইটটি ওপেন করলেই শোনা যাবে রাখাইন মিউজিক| সাইট হ্যাক তথ্যে লেখা আছে এই সাইটটি হ্যাক করেছে “Hacked By Blink hacker group বা হ্যাক করেছে ব্লিংক হ্যাকার গ্রুপএছাড়া তারা একটি লিখিত বার্তায় বলেছে মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে বৌদ্ধ ও রাখাইনদের হত্যা ও তাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে| এরপর বাজে ভাষায় গালি দিয়ে বাংলাদেশিদের রোহিঙ্গা উল্লেখ করে বলেছে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হলে রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণ বন্ধ হবে না এবং তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে | তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের ভূমি ফেরত চেয়ে বলেছে আমাদের ভূমি ফেরত দাও | তারা আরো লিখেছে, আমরা বাংলাদেশীদের ও রোহিঙ্গাদেরকে খুঁজছি, এবং রোহিঙ্গাদের ধর্মের সবাইকে আমরা খুব তাড়াতাড়ি হত্যা করবো "We will kill all your Rohinja Religions Soon” সর্বশেষ তাদের বার্তায় তারা আবারও লিখেছে, "We Love Rakhaing and We Love Mayanmar” বা আমরা রাখাইনদেরকে ভালবাসি আমরা মায়ানমারকে ভালবাসি| সর্বশেষ ১১ জুন, ২০১২ দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটিকে ঠিক করা হয়।
হ্যাক হবার পর যে ফটোটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটের পর্দায় দেখা গিয়েছিল সেটি দেখুন এই লিংক থেকে। 

শনিবার, জুন ০২, ২০১২

বাংলাদেশের বিপন্ন সার্বভৌমত্ব এবং সপ্তম নৌবহরের কমান্ডারের ঢাকা সফর


যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ভাইস অ্যাডমিরাল স্কট এইচ সুইফট ৬-৮ এপ্রিল, ২০১২ ঢাকা সফর করছেন। ছয় তারিখ শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকা পৌঁছান। ৮ এপ্রিল, ২০১২ ঢাকা সফর শেষ করবেন তিনি।
মার্কিন দূতাবাসের সপ্তম নৌবহর বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সপ্তম নৌবহরের এলাকার আওতায় রয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার, যা উত্তরে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণে আটলান্টিক এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সময়রেখা থেকে ৬৮তম পূর্ব ভূমধ্যরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। যেকোনো প্রদত্ত সময়ে ৬০ থেকে ১০০ জাহাজ, ২০০ থেকে ৩০০ যুদ্ধবিমান এবং ৪০ হাজার নৌসেনা ও মেরিন কোর সেনাকে এই সপ্তম নৌবহরে নিয়োজিত করা হয়।
এর আগে গত বছর জুন ২০১২ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌঘাঁটি স্থাপনের খবরটিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলকিন্তু ভিত্তিহীন বললেই তা ভিত্তিহীন হয়ে যায় না
উল্লেখ্য জুন, ২০১২ হঠা করেই সংবাদ আলোচনায় আবার আসে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর হুট করেই গত দুই জুন টাইমস অফ ইন্ডিয়া খবর প্রকাশ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদিরা আবার বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে এবং ৪১ বছর পর আবার তারা বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর স্থাপন করতে চায়সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আমেরিকান রণতরীর ঘাঁটি গাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চিনকেকারণ চিন দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের নৌজাহাজ মোতায়েন করেছে  মার্কিনিরাও চিনের বিরুদ্ধ-কৌশলগত কারণে জাপান থেকে দিয়াগো গার্সিয়া পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে তার সৈন্য নৌবহর মোতায়েন করতে চায়এসবেরই পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পর এশিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য চট্টগ্রামে বা বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একান্ত দরকারযদিও মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধরনের  সামরিক পদক্ষেপের কথা নাকচ করে দিয়েছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়
হিলারি ক্লিনটন গত ৫ ও ৬ মে ২০১২ তে বাংলাদেশ সফর করেন। তখনই চট্টগ্রামে মার্কিন নৌবহর মোতায়েনের ব্যপারে হিলারীর সাথে বাংলাদেশ সরকারের কথা হয় বলে টাইমস অফ ইণ্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়; যদিও বাংলাদেশের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি । সেই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় চট্টগ্রামে আমেরিকান নৌবহর ঘাঁটি গাঁড়লে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিনও তাই মনে করে বলে চিনের এক ওয়েবসাইটে জানানো হয়। কারণ তখন ভারতের সকল নিরাপত্তা স্থাপনা আমেরিকার নজরদারির আওতায় থাকবে।
যদিও আমরা বাংলাদেশের জনগণ খুব ভালো করেই জানি ভারত এখন মার্কিনের কৌশলগত বন্ধু। হিলারীর সেই সফরের আগে থেকেই বাংলাদেশে মার্কিন সেনাবাহিনী উপস্থিত রয়েছে। দুদেশের সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যেই যৌথ মহড়া দেয়। দুদেশপরস্পর সামরিক সহযোগিতার নামে মূলত বাংলাদেশ মার্কিন হুকুম তামিল করে। এছাড়াও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়েই কাজ করছে। এই যে মার্কিনীদের কথায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সরকার উঠছে-বসছে তা দ্বারা শুধু বাংলাদেশের দূর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে না; বাংলাদেশের স্বাধিনতা-স্বার্বভৌমত্বও শক্তিহীন হয়ে পড়ছে।
আমরা জানি হিলারির সফরের সময়েই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারী চুক্তি সম্পাদন করে আর এই চুক্তির কারণেই চট্টগ্রামে নৌ-ঘাঁটি করার পাঁয়তারা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ২ জুন সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিনের সাথে সম্প্রাদিত সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা হুমকির মুখে তা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

রবিবার, এপ্রিল ২২, ২০১২

বাংলাদেশে যতভাবে পাখি শিকার করা হয়


পাখি রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের একটি প্রচারণা
বাংলাদেশে নানাভাবে পাখি শিকার করা হয়। পাখি শিকার আজকাল যতটা না বন্দুক দিয়ে হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি হয় ফাঁদ পেতেলোকেরা শুধু যে শখ করে শিকার করে তা নয়, একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি পেশাদার শিকারির দলসেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ব্যাপক হারে চলে এই পাখি শিকারশিকারীরা বাজার গড়ে তুলেছে বিক্রির জন্য। গোপন প্রকাশ্য দুভাবেই পাখি বিক্রি হয়। সিলেট অঞ্চলের হোটেলে শীত মৌসুমে পাখির মাংস অনেক হোটেলে পাওয়া যায়। দিনাজপুর শহরের দুতিনটি হোটেলে সারা বছরই বিক্রি হয় পাখির মাংস। 
আইনত নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশেই চলে শিকারশীতের মৌসুমে অমাবস্যার সময় পাখি বেশি ধরা পড়েকারণ জলাশয়ে পাখিরা নামে অনেকটা উড়োজাহাজের মতোআর নামার সময় ফাঁদে আটকে যায় গলা কিংবা পাবিলের শত শত একরজুড়ে ফাঁদ পেতে, জাল টানিয়ে, নিশানা উড়িয়ে তৈরি করা হয় শিকারের এলাকা বাগেরহাটে এগুলোকে বলে 'গগা'নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাখিশিকারে ব্যবহার করা হয় সুতোর ফাঁস, কারেন্ট জাল, নেট জাল, বাঁশি ফাঁদ, উড়ো ফাঁদসিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ভোলা, বরিশালে ব্যবহার করা হয় বিষটোপফাঁদ, জাল বিষটোপে বেশি মারা পড়ে পাতি সরালি (Lesser Whistling Duck), বেগুনি কালিম (Purple Swamphen), উত্তুরে খুন্তেহাঁস (Northern Shoveler), উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস (Northern Pintail), ধলা বালি হাঁস (Cotton Pigmy Goose), দেশি মেটে হাঁস (Indian Spot-billed Duck), ছোটডুবুরি (Little Greebe), পাতিকুট (Eurasian Coot), ধলাবুক ডাহুক (White-breasted Waterhen), নাটা গুলিন্দা (Whimbrel), ছোট পানকৌড়ি (Little Cormorant), পাতি চ্যাগা (Common Snipe), ল্যাঞ্জা চ্যাগা (Pin-tailed Snipe), কোড়া(Watercock), মেটে রাজহাঁস (Greylag Goose)ইত্যাদি
এছাড়া গ্রামে কিছু মানুষ পোষে টিয়া ও ঘুঘু। পোষা ঘুঘু ও টিয়া দিয়ে বন্য ঘুঘু ও টিয়া শিকার করা যায়। একইভাবে  পোষা কোড়া দিয়ে বন্য কোড়া(Watercock) শিকার করা যায়। বড়শি দিয়ে শিকার করা যায় পান্তা ঝিল্লি (Water Rail)। আমাদের বাংলাদেশে Ardeidae পরিবারের যে ১৯ প্রজাতির বক পাওয়া যায় তার সব কটির মাংস বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এই বকগুলির মধ্যে ছোট বগা (Little Egret) ও দেশি কানিবক (Indian Pond Heron) প্রায় গ্রামেই একসময় পাওয়া যেত। এই বক দুটোকে ফাঁদ পেতে ধরেই গ্রাম বাসিরা শেষ করে ফেললো। ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা অঞ্চলে ছোট আকারের গোপন ঘরের ছাদে একটি বন্দি বক রেখে ঘরটির মধ্যে মানুষ লুকিয়ে থাকে। বন্দি বকটির পাশে অন্য বক এসে বসলে হাত দিয়েই বক শিকার করা যায়। 
পাখি শিকার বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশসহ পৃথিবী অবিলম্বেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই পাখি বাঁচাতে হবে।  

পাখি বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পড়ুন আরো একটি নিবন্ধঃ বাংলাদেশের পাখি, বাংলাদেশের প্রাণ, পাখি বাঁচান, বাংলাদেশকে বাঁচান
পাখি কীভাবে বাড়াতে হবে তা জানতে পড়ুনঃ পাখি বাড়াতে করণীয়

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১২

বাংলাদেশের ফলবৈচিত্র্যের একটি বিস্তারিত পাঠ, Diversity of Fruit Plants in Bangladesh.


Jackfrut, National fruit of Bangladesh
Prepared by

Anup Sadi

Poet & Author,
October- 2009

Preface
 “A Study on Diversity of Fruit Plants in Bangladeshis a time benefiting topic which deserves due attention and importance of our country. I have made a fair attempt to prepare my topic with the best available information within the limited period.
The objectives of preparing term paper for the training course are to increase  the capacity of trainee for identifying of socio-economic problem to find out the nature and course  of problem to create  awareness  of trainee  about the problem and to solve them through  investigation.
Fruit plants are an important wealth in our country. From long ago fruit plants assail their leaf, stem, root, fruit etc are used to protect desire. But with the much destructing of forest they are also destroyed. According to the scientist  many of  them are already  extinct, so my term paper  topic  is very  important in this time  I am very happy to prepare this term paper within short  time. I would be more than rewarded if my study benefits the readers to some extent and stimulates thinking in the respective spheres. To read the Full Essay, Please click here.

Featured Post

বাংলাদেশের পাখির তালিকা, A checklist of the birds of Bangladesh.

Oriental Magpie Robin; National Bird of Bangladesh বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর তালিকাটি অনেক সমৃদ্ধ। এদেশ পাখির দিক দিয়...